পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আতিক আহমেদ সহ তিন অভিযুক্তের আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ শোনাল প্রয়াগরাজের এমপি-এমএলএ কোর্ট। এর আগে আতিক আহমেদ সহ তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্তের নির্দেশ শোনায় আদালত। তবে এই মামলায় আতিকের ভাই আশরাফ আহমেদসহ সাত আসামিকে খালাস ঘোষণা করা হয়েছে।
২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশের বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুন হয়। সেই মামলাতেই অতিক আহমেদকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আতিকের পাশাপাশি দীনেশ পাসি এবং খান শওকত হানিফেরও আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ শুনিয়েছে আদালত।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পুলিশ মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক আতিক আহমেদকে প্রয়াগরাজ আদালতে নিয়ে যায়। ২০০৬ সালের অপহরণ মামলার এই রায় দেওয়া হয় বলে আদালত জানিয়েছে। ২০০৬ সালের বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যা মামলার একজন সাক্ষী উমেশ পালকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আতিক আহমেদকে আদালতে নিয়ে যায়।
পুলিশ আতিক আহমেদকে আহমেদাবাদের সবরমতি কারাগার থেকে নিয়ে আসে তার পিছনে তার বোন আয়েশা নূরী এবং আইনজীবীদের গাড়িগুলি ছিল।
আতিকের ভাই খালিদ আজিম ওরফে আশরাফকেও প্রয়াগরাজের নৈনি সেন্ট্রাল জেলে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার উমেশ পাল অপহরণ মামলার শুনানির আগে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়এবং প্রয়াগরাজ জেল থেকে আদালতে যাওয়ার পথে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী ।
আদালত চত্বরের ভিতরে, আদালত কক্ষে পুলিশ মোতায়েন করা হয় যেখানে আতিক আহমেদকে হাজির করা হয়। সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুসারে, নিরাপত্তার জন্য ইন্সপেক্টর হেড কনস্টেবল এবং এসপি সহ মোট ৩০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়।
ডিউটিতে থাকা পুলিশদের সতর্ক থাকতে এবং আদালতের শুনানি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের আদালতের বাইরে আনা না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আদালত চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, যা পুলিশকে অভিযুক্তদের ওপর নজর রাখতে সাহায্য করবে।এদিকে প্রয়াগরাজের নৈনি সেন্ট্রাল জেলের আধিকারিকরা আতিক আহমেদকে সারা রাত ধরে কড়া নজরদারিতে রেখেছিলেন।