পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তিলজলায় সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় সামনে এল তান্ত্রিক যোগের ইঙ্গিত। মাথায় হাতুড়ির আঘাত, সারা শরীর কোনও সূচালো অস্ত্রে ক্ষতবিক্ষত। পরে শ্বাসরোধ করে খুন।
বন্ডেল গেট, পিকনিক গার্ডেনের পর পার্ক সার্কাসে রেল অবরোধ করলেন স্থানীয় মানুষ। শিয়ালদা ট্রেন বন্ধে যাত্রী হয়রানির শিকার বহু মানুষ।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত অলোক কুমার সন্তানহীন। সমস্তিপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির স্ত্রীয়ের তিনবার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। বিহারের এক তান্ত্রিক অলোক কুমারকে সন্তানলাভের জন্য নবরাত্রির আগে নরবলি দেওয়ার নিদান দেয়। সেই কারণেই সাত বছরের শিশুকন্যাকে সে হত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে অলোক কুমার। ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করতে বিহারে যেতে পারে পুলিশ।
তিলজলার একটি বহুতলের বাসিন্দা ওই শিশুকন্যাকে সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ির আবর্জনা বাইরে ফেলে আসতে পাঠানো হয়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, দোতলার বাসিন্দা অলোক কুমার তাকে টেনে ঘরে ঢুকিয়ে নেয়। এরপর যৌন নির্যাতন করে তাকে খুন করা হয়। মাথায় স্ক্রু দিয়ে আঘাত করা হয়। শিশুকন্যার বস্তাবন্দি দেহ অলোকের ফ্ল্যাটের গ্যাস সিলিন্ডারের পাশ থেকে উদ্ধার হয়।
রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে একটি বস্তার মধ্যে দেহ লুকনো ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযুক্তের বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। তাই পুলিশ খোঁজ করলেও তাঁর ফ্ল্যাটে সন্ধান চালানো প্রথমে সম্ভব হয়নি। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান। শিশুকন্যাটির চেহারার বীভৎসতা দেখে শিউরে উঠেছে পুলিশও।
এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা। তিলজলা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখা স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানাও ঘেরাও করা হয়। এই ঘেরাও ঘিরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় রবিবার রাতে। বিক্ষোভকারী স্থানীয়রা পুলিশের উদ্দেশে ইট পাটকেল ছোড়েন বলে অভিযোগ। এর জেরে দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশও। বেশ কয়েক জনকে আটকও করে পুলিশ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই ডিসি, এসইডি শুভঙ্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শুরু হয় পাল্টা লাঠিচার্জ।