পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন হাইকোর্টে অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার সংখ্যা কত কেন্দ্রীয় সরকারকে তা জানাতে বলেছিল দিল্লি হাইকোর্ট।
এই মামলাগুলি বিজেপির প্রতিনিধিরা করেছে বলে এক সূত্রে জানা গেছে। তার মধ্যে অন্যতম বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি হাইকোর্টকে ১২০ টি পিটিশন সম্পর্কে অবহিত করেছে যা ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। সারা দেশে ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ এর বিধানগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন হাইকোর্টে অনেক মামলা মুলতুবি রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্থায়ী আইনজীবী (সিজিএসসি) কীর্তিমান সিং বুধবার আদালতকে এই বিষয়ে অবহিত করেছেন এবং ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি শচীন দত্তের একটি বেঞ্চ সরকারি কৌঁসুলিকে পদক্ষেপ নিতে এবং সমস্ত বিষয়ের একত্রীকরণ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেছেন।
আদালত ওয়াকফ আইনের বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশনের শুনানি করছিলেন। এর মধ্যে একটি আবেদন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের।
সরকার তার আবেদনে বলেছে, দেশে এমন বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা সারা দেশে মুলতুবি রয়েছে যা ওয়াকফ আইনের এক বা একাধিক বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া প্রয়োজন।
সরকারি আইনজীবী বলেছেন, ওয়াকফ অ্যাক্ট, ১৯৯৫-এর বিভিন্ন ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরদাতা ও আবেদনকারীদের (কেন্দ্রীয় সরকার) একটি স্পষ্ট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আগামী ২৬ জুলাই এই হাইকোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
তার আবেদনে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় যুক্তি দিয়েছেন যে ওয়াকফ আইনটি ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে কিন্তু হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, ইহুদি, বাহাইম, জরথুস্ট্রিয়ান এবং খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের জন্য এ রকম কোন অনুরূপ আইন নেই।
বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াকফ আইন “জাতীয়তা, ধর্মনিরপেক্ষতা, ঐক্য ও অখণ্ডতার পরিপন্থী।
উপাধ্যায়ের যুক্তি, রাজ্যগুলি দেশে চার লক্ষ মন্দির থেকে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করে তবে হিন্দুদের জন্য অনুরূপ বিধান নেই। আইনটি স্পষ্টভাবে সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের বিরোধী। আবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াকফ আইনে লাগামহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
“আবেদনকারীর মতে, দেশের আইনে ট্রাস্ট, মঠ, আখড়া, সমিতির সমান মর্যাদা অস্বীকার করে ওয়াকফ সম্পত্তিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। আবেনকারীর দাবি,হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধদের সম্পত্তির জন্য কোনও সুরক্ষা নেই যা আছে ওয়াকফ বোর্ডের।
অন্যদিকে কংগ্রেস আমলে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া সম্পত্তি ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সঠিক সময়ে ওই সম্পত্তিতে ওয়াকফ বোর্ড কিছু করতে না পারায় মোদি সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে খবর। যদিও দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি এটা শুধুই অজুহাত, এবং বড় যড়যন্ত্র। তারা এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে।