পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দেশে ফের করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতি যাতে কোনও মতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তার জন্য এবার প্রথম থেকেই তৎপর কেন্দ্র সরকার। গত দুবছরে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ চেহারা নিয়েছিল, এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্তর গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা, তাই এবারে আর কোনও খামতি রাখতে রাজি নয় কেন্দ্রের মোদি সরকার।
গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ এক হাজার ছাড়িয়েছে। প্রায় সাড়ে চার মাস পর হাজার ছাড়িয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। বুধবার করোনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বিকেলে সাড়ে ৪’টেতে শুরু হওয়া ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য)-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি, এই বৈঠকে সংক্রমণের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ বলেন, ‘ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, বুধবার ১,১৩৪টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। ৫ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে (ছত্তীশগড়, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং কেরলে ১ জন করে)। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০২৬। এই পরিস্থিতিতে চিনে করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ ‘বিএফ.৭’-এর ‘সক্রিয়তা’ বাড়ার ঘটনাতেও চিন্তা রয়েছে কেন্দ্রের। এছাড়াও করোনা নয়া ভ্যারিয়েন্ট এইচ৩এন২ আক্রমণে প্রায় ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় কোভিডনীতি মেনে চলার পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরা থেকে শুরু করে জনসমাগম এড়িয়ে চলা সহ স্যানিটাইজের ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথা, বুকে চাপ অনুভব করা, ক্লান্তি, মুখ সহ ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়। করোনার সঙ্গে ভ্যারিয়েন্ট এইচ৩এন২-এর প্রচুর সাদৃশ্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভ্যারিয়েন্টটি মিউটেড হচ্ছে। করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকেই তৈরি হচ্ছে নয়া স্ট্রেন। ফলে এখনই করোনাকে কোনও ভাবেই হালকাভাবে নেওয়া উচিৎ নয়।