পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীর মতো শুক্রগ্রহেও সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। শুক্রে অগ্ন্যুৎপাতের পাশাপাশি লাভার উদগীরণও হয়। ৩ দশকেরও বেশি সময় আগে রাডারের মাধ্যমে তোলা ছবি নতুন করে বিশ্লেষণের পর এর প্রমাণ মিলেছে। গবেষকরা ছবিতে দেখেন, শুক্রগ্রহের পৃষ্ঠে প্রায় ১.৬ কিমি. চওড়া একটি আগ্নেয়গিরির গর্ত, যেটি ১৯৯১ সালে ৮ মাসের ব্যবধানে প্রসারিত হয়। গর্তটি ম্যাট মোনসে অবস্থিতি। ম্যাট মোনস হচ্ছে শুক্রগ্রহের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত। ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তোলা এক ছবিতে দেখা গেছে, বৃত্তাকার গর্তটি ২.৬ বর্গকিলোমিটারজুড়ে রয়েছে। এরপর ১৯৯১ সালের একটি ছবিতে গর্তটির অস্বাভাবিক আকৃতি দেখা যায়। একই সঙ্গে এটি প্রসারিত হয়ে ৩.৯ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়ায়। আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউটের গবেষণা অধ্যাপক ও সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রধান লেখক ড. রবার্ট হেরিক বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে যা দেখতে পেয়েছি তা হল একটি আগ্নেয়গিরির গর্ত বড় হয়ে গেছে। এর গভীরতা হতে পারে কয়েকশ মিটার।’ তিনি বলেন, গর্তের নীচের একটি চেম্বারে ম্যাগমার নতুন প্রবাহ রয়েছে। হেরিক বলেন, নতুন গবেষণার তথ্যে দেখা গেছে, পৃথিবীতে অবস্থিত আগ্নেয়গিরি মতো শুক্রগ্রহের আগ্নেয়গিরিতেও কয়েক মাস পর পর অগ্ন্যুৎপাত হয়।