পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জাপানে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। জন্মহার বৃদ্ধি না পেলে জাপান একসময় মাণচিত্র থেকে পুরোপুরি ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে যাবে বলে মনে করেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার এক উপদেষ্টা। জাপান সরকার জানায়, ২০২২ সালে সন্তান জন্মহারে নতুন সর্বনিম্ন রেকর্ড গড়েছে দেশ। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মাসাকো মোরি বলেন, ‘আমরা যদি এভাবে চলতে থাকি, তাহলে দেশ একসময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিহ্ন হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে মানুষজনকে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এটি শিশুদের যন্ত্রণা দেবে।’ ২০২২ সালে জাপানে যত শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, তার প্রায় দ্বিগুণ লোক মারা গেছে। ওই বছর দেশটিতে শিশু জন্ম নিয়েছে আট লক্ষেরও কম, কিন্তু মারা গেছে ১৫ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ অবস্থার পরিবর্তনে শিশু ও পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ দ্বিগুণ করার ঘোষণা করেছে জাপান সরকার। ২০০৮ সালে জাপানে জনসংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লক্ষে পৌঁছেছিল। তবে এখন তা কমতে কমতে ১২ কোটি ৪৬ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। ফুমিও কিশিদার উপদেষ্টা মোরি বলেন, জন্মহার ধীরে ধীরে কমছে না, এটি সোজা নিচের দিকে যাচ্ছে। এর মানে, এখন জন্ম নেওয়া শিশুরা এমন একটি সমাজে নিক্ষিপ্ত হবে, যা বিকৃত ও সংকুচিত হয়ে পড়েছে এবং কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কিছু করা না হলে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, শিল্প ও অর্থনৈতিক শক্তি কমে যাবে এবং দেশকে রক্ষার জন্য বাহিনীতে পর্যাপ্ত লোকবল থাকবে না।’ মোরির কথায়, সন্তান জন্ম দেওয়ার উপযুক্ত বয়সী নারীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় জন্মহার পতনের ধারা পরিবর্তন এখন অত্যন্ত কঠিন হবে। সরকারকে জন্মহার পতনের হার ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অবশ্যই যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।’