পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনই আঞ্চলিক ভাষায় রায়দানের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে অনন্য নজির গড়ল কেরল হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস মণিকুমার এবং বিচারপতি সাজি পি চালির ডিভিশন বেঞ্চ দুটি রায় দিয়েছেন মালয়ালম ভাষায়। হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোডও করা হয়েছে রায় দুটি। পরীক্ষামূলক ভাবে এই আঞ্চলিক ভাষায় এই রায়দান প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আগেই বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলি হিন্দি, গুজরাতি, ওড়িয়া এবং তামিলের মতো চারটি ভাষায় অনুবাদ করা উচিত। ২০১৭ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ আঞ্চলিক ভাষায় রায়দানের প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন।নিজের মতের স্বপক্ষে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির যুক্তি ছিল আদালতে যারা বিচার চাইতে আসেন তাঁরা সবাই যে ইংরেজিতে পারদর্শী হবেন এমন কোন কথা নেই। তাই নিজের আঞ্চলিক ভাষায় যদি রায়দান করা হয় তাহলে আইনের জটিল বিষয়গুলি বিচারপ্রার্থীদের কাছে অনেক সহজ হয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে দেশের শীর্ষ আদালত তাদের ওয়েসাইটে আঞ্চলিক ভাষায় রায় আপলোড করা শুরু করে। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ওড়িয়া, গারো এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় শীর্ষ আদালত ১০৯১ টি রায় প্রকাশ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও, ইংরেজিতে পারদর্শী নন এমন নাগরিকদের কাছে রায়কে আরও সহজলভ্য করার বিচার বিভাগের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই প্রসঙ্গে ট্যুইট করে মোদি বলেন এটি একটি প্রশংসনীয় চিন্তা, যার ফলে উপকৃত হবেন অনেকেই।”