কৌশিক সালুই বীরভূম:- প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদের স্কুল ছুট রুখতে প্রথা বহির্ভূত পাঠদানের জন্য তৈরি হয়েছে “আনন্দপাঠ” । বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হওয়া ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় সেই পাঠশালায় মঙ্গলবার হাজির হলেন জেলা শাসক। দেখলেন তাদের পঠন-পাঠন। জেলাশাসককে কাছে পেয়ে রাস্তাঘাট, পানীয় জল, শৌচালয়, সরকারি প্রকল্পের বাড়ি প্রভৃতি নিয়ে দাবিও করলে স্থানীয়রা। তার কাছ থেকে সবকিছু দেখার আশ্বাস পেয়ে খুশি এলাকাবাসীরা।
এদিন বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকার মকদুম নগরে যান। সেখানে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হওয়া আনন্দপাঠ স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের কাছে গিয়ে হাজির হন।
পড়াশোনার পাশাপাশি দেখলেন তাদের নাচ গান। এই “আনন্দপাঠ” স্কুল বীরভূমের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি বা যেখানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের বসবাস সেখানেই সহায়ক পাঠশালা গড়ে তোলা হয়েছে। মুহাম্মদ বাজার এলাকায় ২৩ টি এই পাঠশালায় ৫০০ বেশি পড়ুয়া বর্তমানে রয়েছে। জেলার পনেরোটি ব্লক এলাকায় প্রায় ছয় হাজার পড়ুয়া পড়াশোনা করছে।
খুব দ্রুত বাকি আরো চারটি ব্লক এলাকায় এই প্রথা বহির্ভূত পাঠশালার পঠন পাঠনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। স্কুলের পঠন পাঠনের সময় বাদ দিয়ে সপ্তাহে পাঁচ দিন দু’ঘণ্টা করে এই সহায়ক পাঠশালায় পাঠদান করা হচ্ছে।
শুধু পড়াশোনা নয় এর সঙ্গে নাচ গান ছবি আঁকা আবৃত্তি পাঠ সবকিছুই থাকছে এখানে। বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় বলেন,” প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি একটা ভীতি থাকে সেই থেকে স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়ে যায়। আমাদের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেই সমস্ত পড়ুয়াদের পড়াশোনা যাতে আতঙ্কের না হয়ে আনন্দ লাভের হয়। তার জন্য এই ‘আনন্দপাঠ’ শুরু করেছি আমরা। এছাড়াও স্থানীয় মানুষজন রাস্তাঘাট, পানীয় জল, শৌচালয়, সরকারি প্রকল্পের বাড়ি প্রভৃতির দাবি জানিয়েছেন সেগুলো যাতে খুব দ্রুত হয় তার জন্য প্রশাসন পাশে আছে”।