উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। আবারো বাঘের আক্রমণে গুরুতর আহত মৈপিঠ কোস্টাল থানার নগেনাবাদ এলাকার সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে এক মৎস্যজীবি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেল,গত ৩রা ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে পূর্ণ দাস তাঁর নৌকা নিয়ে পশুপতি সরদার, সমর হালদার, সঞ্জয় চক্রবর্তী চার বন্ধু মিলে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যায়। শনিবার বিকালে নৌকায় বসে কাঁকড়া ধরার চার তৈরি করার মুহূর্তে জঙ্গল থেকে লাফিয়ে নৌকার উপরে সঞ্জয় চক্রবর্তীর ঘাড়ে উপর একটি বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড় দেয়।
পাশে থাকা পূর্ণদাস,পশুপতি সরদার,সমর হালদার বাঘের সঙ্গে অসীম সাহসিকতায় যুদ্ধ করে সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে এদিন ভোরে। মৈপীঠ কোস্টাল এলাকার এক চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পি জি হাসপাতালে। এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ঐ আহত মৎস্যজীবি।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। এক ছেলে এক মেয়ে। দুজনেই খুব ছোট্ট ক্লাস দ্বিতীয় ও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে।
২০২৩ সালের এপর্যন্ত বাঘের আক্রমণে সুন্দরবনে চারজন মৎসজীবি আক্রান্ত হয় তিনজন নিহত ও একজন আহত বর্তমানে।এই সব মৎস্যজীবিদের দীর্ঘদিন সুন্দরবন সহ সারা রাজ্য জুড়ে কাজ করে চলেছে এপিডিআর নামে একটি সংগঠন। এদিন এই সংগঠনের জেলা সহ সম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন,এই সব গরীব মানুষদের নায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমরা লড়াই করে চলেছি।বিকল্প উপার্জন এদের জঙ্গল মুখী হওয়া থেকে আটকাতে পারে।আমরা চাই সঞ্জয় চক্রবর্তীর সমস্ত চিকিৎসার খরচ বিনামূল্যে করতে হবে।
গুরুতর আহত হওয়ার জন্য বন দপ্তরকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সংসার ও বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।এছাড়া বাঘে আক্রান্ত পরিবারের পারিবারিক পেনশন দিতে হবে।নহলে আমাদের লড়াই চলবে।