ওবাইদুল্লা লস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১০০ দিনের কাজের পর এবার মিড ডে মিলের খাবারে গুণগত মান ও তার সঠিক পরিমাণ পরিদর্শন করতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, একাধিক জায়গায় বিভিন্ন স্কুলগুলিতে পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে ছিল ১২ জন সদস্য। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের রসপুঞ্জ রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় মিড ডে মিলের খাবারের গুণগত মান ও খাবারের পরিমাণ এর পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রদের অনুপাত পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এরপর রান্নাঘরে হানা দেয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রান্নাঘরে পৌঁছে, রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা মহিলাদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জিজ্ঞাসা করে কতজন মহিলা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত কি খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রান্নার কাজের সঙ্গে মহিলারা গ্লাভস করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেন কি খাবার ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ানো হচ্ছে সেই খাবারের নমুনাও সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এরপর সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখার পর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতা ও ওজন পরিমাপ করে কেন্দ্র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ঠাকুরপুকুর মহেশতলার পর বিকেলে উস্থি ব্লকের রামচন্দ্রপুর হাই স্কুলে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা পৌঁছায়। স্কুল পরিদর্শনের পাশাপাশি স্কুলে রান্নাঘর ও পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। খাবারের গুণগত মান খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এর পাশাপাশি রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রান্না করতে কোনরকম অসুবিধা হচ্ছে কিনা তাও জিজ্ঞাসা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এই পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক ও ডায়মন্ড হারবার মহকুমার প্রশাসক। খাবারের গুণগতমান খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।পড়ুয়াদের খেতে দেওয়ার আগে শিক্ষক, রাঁধুনি-সহ মাঝে মধ্যে দু’একজন অভিভাবককে ডেকে খাবার চাখতে বলার নিয়ম আছে। সেই নিয়ম কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক স্কুলে হাত না ধুয়েই পড়ুয়ারা খেতে বসে যায়। সে দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাঁধুনিদের টুপি, গ্লাভস, অ্যাপ্রন পরে রান্না করার কথা। তা যাতে সঠিক ভাবে পালন করা হয়, তা স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছে।কোন জলে রান্না হয়, পড়ুয়ারা কীসের জল খায়, রান্নায় কী তেল-মশলা এবং লবণ ব্যবহার করা হয়, রাঁধুনিরা রোজ হাতে গ্লাভস ও মাথায় ক্যাপ পরেন কি না – শুধু রান্নার কাজে নিয়োজিত স্বর্নিভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরই নয়, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের একাংশকে এদিন বারবার এইসব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কত এই সমস্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় স্কুল আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এই পরিদর্শনে খুশি অভিভাবক অভিভাবিকরা।