পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নামাজের সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পাকিস্তানের পেশোয়ারে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১৫০ জনেরও বেশি। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ অর্থাৎ জোহরের নামাজের সময় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় মসজিদটিতে প্রচুরসংখ্যক মুসল্লি নামাজরত ছিল।
স্থানীয়রা ও মসজিদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মসজিদটির একাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেক মুসল্লি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
তবে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। হামলাকারী সামনের কাতারে বসে ছিলেন এবং তার শরীরে বাঁধা বোমা ফাটিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটান। এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
পেশোয়ার নগর পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইজাজ খান স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। এদিকে পাকিস্তানের সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হামলার টার্গেট ছিল সম্ভবত পুলিশ। কারণ নিহতদের বেশির ভাগই ছিলেন পুলিশ বাহিনীর সদস্য।
এদিকে পেশোয়ারের লেডি রেডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম বলেন, জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই হামলার পেছনের যারা জড়িত তাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাসের এই হুমকি মোকাবেলায় জাতি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রীয়করণ ইউনিটের সদস্যরা হাজির হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করছে পাকিস্তানের স্থানীয় মিডিয়া। রাজধানী ইসলামাবাদে উচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। রাজধানীতে ঢোকার এবং বেরোনোর সব পথে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।