শুভজিৎ দেবনাথঃ ভারতে খেলতে এসে মৃত্যু হোলো এক বাংলাদেশি ফুটবল খেলোয়াড়ের। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের গয়ের কাটায়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়া প্রেমী মহলে।
প্রাক্তন খেলোয়াড় দিয়ে আয়োজন করা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মাঠে রাখা ছিলনা এম্বুল্যান্স। খেলা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়ে এক খেলোয়াড়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসক।
জানা গেছে গয়েরকাটার গ্রীনল্যান্ড ডুয়ার্স ভ্যাটারেন্স নামে এক সংস্থার পক্ষ থেকে ভারত, ভূটান, বাংলাদেশ ও নেপাল এই চার দেশের ভ্যাটারেন্স খেলোয়াড়দের নিয়ে দুদিন ব্যাপী ফুটবল খেলা রবিবার থেকে শুরু হয়েছিল। খেলতে গিয়ে মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের এক সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলোয়াড় বছর ৫৬ এর হানিফ রসিদ ডাব্লু । খেলা শুরুর কিছুক্ষন পর মাঠেই তিনি অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাকে প্রাইভেট গাড়ি করে বীড়পাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে দেখবার পর মৃত বলে ঘোষনা করেন বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনার পর ক্রীড়া প্রেমী মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে
১) এই খেলার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনুমতি ছিলো কি?
২) মাঠে কেনো চিকিৎসক ও এম্বুলেন্স ছিলোনা?
৩) খেলতে নামার আগে খেলোয়াড়দের ব্লাড প্রেশার মাপা সহ অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করা আদৌ করা হয়েছিল কি?
আয়োজক কমিটির পক্ষে উত্তম বিশ্বাস বলেন উনি অসুস্থ হলে আমরা সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেই। পথে রেল গেট পড়ে যাওয়ায় নিয়ে যেতে খানিকটা দেরী হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়। আমরা মাঠে এম্বুলেন্স এর ব্যাবস্থা করেছিলাম। একজনকে বলা ছিল। কিন্তু কোনও কারনে আসেনি। তবে আমরা ঘটনার সাথ সাথে উনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব কুমার দত্ত বলেন এই কমিটি আমাদের অনুমতি নেয়নি। অনুমতি চাইলে অবশ্যই আমরা জরুরি চিকিৎসা ব্যাবস্থা সহ যা আমাদের গাইড লাইন আছে তা আমরা জানিয়ে দিতাম। ওই সংস্থার কোনও ভাবে উচিৎ হয়নি বিনা এম্বুলেন্স এ খেলা পরিচালনা করা। এইভাবে একজন বিদেশী খেলোয়াড় আমাদের জেলায় মারা গেলো এতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। বিষয়টির তদন্ত হবে।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন ভেটারেন্স প্লেয়ার দের নিয়ে বানারহাটের একটি ক্লাব ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিল। খেলা শুরু হলে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের এক প্লেয়ার। এরপর তাকে বীড়পাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে চিকিৎসক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।