ওবাইদুল্লা লস্কর, উস্থি:পুত্রবধুর সঙ্গে এলাকার যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। অবৈধ সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাশুড়ি। এরই জন্য খুন হতে হলো তাঁকে ।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার ভোলেরহাট মোড় এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সরস্বতী রায় (৬৫) ভোলেরহাট এলাকার বাড়িতে ছোটছেলে দীপক রায়ের বাড়িতে থাকতো। সম্প্রতি ছোট ছেলে দীপক রায়ের স্ত্রী সুপর্ণা রায় এলাকার এক যুবক খোকন ফকিরের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এমনটাই অভিযোগ। এমনকি ওই যুবকের সঙ্গে অপ্রীতিকর অবস্থায় গৃহবধূকে দেখে ফেলেন সরস্বতী রায়। এর পর থেকেই ছোট ছেলের স্ত্রী মগরাহাটে নিজের বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার সরস্বতী রায় কে ফোন করার চেষ্টা করেন পুত্রবধূর প্রেমিক খোকন ফকির।
বিপত্তি ঘটে গত শুক্রবার, ছোট ছেলে দীপক রায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে মাকে দেখতে না পাওয়ায় চারিদিকে খোঁজখবর শুরু করেন। পরে বাড়ির পেছনে শৌচালয়ের চেম্বার ভাঙা দেখতে পাওয়ায় সন্দেহ হয় দীপক রায়ের। এরপরে উস্তি থানার পুলিশকে দীপক রায় জানায় তার মায়ের দেহ শৌচালয়ের চেম্বারে রয়েছে।ঘটনার খবর পেয়ে উস্থি থানার পুলিশ শৌচালয়ের চেম্বার থেকে সরস্বতী রায়ের দেহ উদ্ধার করে।
পরিবারের অভিযোগ, পুত্রবধুর সঙ্গে এলাকার যুবক খোকন ফকিরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাশুড়ি সরস্বতী রায়। তাই পুত্রবধূর প্রেমিক খোকন ফকির বৃদ্ধাকে খুন করার পর শৌচালয়ের চেম্বারে ঢুকিয়ে দেয় তথ্য লোপাটের জন্য। রবিবার বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের পর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ডহারবার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক খোকন ফকিরকে আটক করেছে উস্তি থানার পুলিশ।