নিজস্ব প্রতিনিধি, রামপুরহাট: চলন্ত ট্রেন থেকে মুর্শিদাবাদের রাজমিস্ত্রীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, তদন্তে রেলওয়ে পুলিশ। জানা গেছে, আপ চেন্নাই গুয়াহাটি তিনসুকিয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে চেন্নাই থেকে পেশায় রাজমিস্ত্রী ইদেল সেখ মুর্শিদাবাদের নিমগ্রাম বেরোলি ফিরছিলেন। ওড়িশার কাছে কোন এক জায়গাতে রাত দশটা নাগাদ গুয়াহাটিগামী নয় যাত্রীর সঙ্গে বচসা হয়।
অভিযোগ, তারপর তাকে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। এই মর্মে ওই নিখোঁজ ব্যক্তির আত্মীয়রা রামপুরহাট রেলওয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
রেলওয়ে পুলিশ গুয়াহাটির ওই যাত্রীদের মধ্যে দুই যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। তবে ওই ব্যক্তি এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন।
মুর্শিদাবাদের নিমগ্রাম বেরোলির বাসিন্দা ওই একই ট্রেনে তার জামাইবাবু নেকবর সেখের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি জানান, ওড়িশার কাছে এক জায়গায় রাত দশটা নাগাদ জামাইবাবু ইদেল সেখ বাথরুম গেছিল।
সেই সময় গুয়াহাটিগামী প্যাসেঞ্জাররা বাথরুমের মুখে বসে ভাত খাচ্ছিল। তাদের খাওয়া শেষের মুখে ছিল। সেই সময় বাথরুম যাওয়ার পথে তাদের একজনের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় বচসা শুরু হয়। ভাতের দাম হিসেবে তারা হাজার টাকা দাবিও করে। কারণ তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তারপর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেও প্রচুর মারধোর করে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের করে দেয় জামাইবাবুর। তার পরই জামাইবাবুকে দেখতে পাওয়া যায়নি। আমার ধারণা তাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিখোঁজ ইদেলের স্ত্রীর বোন রামপুরহাট দাদপুরের বাসিন্দা ফেন্সী খাতুন বলেন, ভাই নেকবর সেখের কাছে খবর পেয়ে সকাল ছটায় রামপুরহাট স্টেশনে ছুটে আসি। আমরা চাই আমার বোনের স্বামীকে খুঁজে দেওয়া হোক। আমরা জানি না সে মরে গেছে না বেঁচে আছে।