আসাদুল ইসলাম: আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ ছোটোখাটো কাজ করে কোনওরকমে বেঁচে আছে। এক সময় স্বপ্ন দেখতাম, একদিন আমাদের সমাজেও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডব্লিউবিসিএস অফিসার তৈরি হবে। আমাদের দেখা সেই স্বপ্ন সার্থক করেছে আল-আমীন মিশন। এই জন্য আল-আমীন মিশনের প্রাণপুরুষ নুরুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানাই।
হাওড়ার সাঁতরাগাছির কাছে নয়াবাজ শাখায় নতুন হস্টেল বিল্ডিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বলেন, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী এবং কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডোমজুড় বিধানসভার বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, জে আই এস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তরণজিত সিং, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের আমন্ত্রিত সদস্য ড. অরুণজ্যোতি ভিক্ষু, আল-আমীন মিশনের সাধারণ সম্পাদক এম নুরুল ইসলাম, আল-আমীন মিশনের সভাপতি সেখ মুহাম্মদ আলি, হাওড়া জেলা পরিষদের সচিব সামসুর রহমান, আল-আমীন স্টাডি সার্কলের ডিরেক্টর দিলদার হোসেন, আল-আমীন বার্তার নির্বাহী সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
ফিরহাদ হাকিম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ছাড়াও দেওয়াল পত্রিকার উদ্বোধন করেন। তিনি তাঁর বিস্তারিত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমার যেমন স্বপ্ন সংখ্যালঘু সমাজের উন্নয়ন, আমদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আন্তরিকভাবে চান সংখ্যালঘু সমাজের ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে যাক।
সরকারের সঙ্গে আল-আমীন মিশনের মতো প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে সমাজ এগিয়ে যাবে। তিনি আল আমীন মিশনের নিউ টাউন শাখার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা স্মরণ করে বলেন, আমাদের স্বপ্ন আজ আর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডব্লিউবিসিএস এসে থেমে নেই। আমরা এখন স্বপ্ন দেখছি আইএএস, আইপিএস করার। সেই প্রস্তুতিও শুরু করেছে আল-আমীন। আল্লাহ আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবেন। উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্তানের পরিচয়ে পরিচিত হওয়া প্রকৃত গর্বের বিষয়।
বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন, আইআইটি বলতে যেমন আমরা খড়গপুর, দিল্লি, মুম্বই আইআইটির কথা বলি, তেমন নিট কোচিং মানে বিত্তবান মানুষ বড় বড় বেসরকারি সংস্থার কথা ভাবে, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ ভাবে আল-আমীন মিশনের কথা।
আল-আমীন মিশনের সাধারণ সম্পাদক এম নুরুল ইসলাম বলেন, আজকের দিন মিশনের ইতিহাসে বিশেষ দিন, কারণ অনেক আবেগ ও স্মৃতি জড়িয়ে আছে নিউ টাউন ও নয়াবাজ শাখা নিয়ে। এতদিন মিশনের নিজস্ব বিল্ডিং ছিল না। এবার নিজস্ব বিল্ডিং হবে। প্রতি বছর নয়াবাজ শাখা থেকে প্রায় ১০০ জন ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবে বলে জানান তিনি। লকডাউনের কারণে অনুষ্ঠান না হওয়ায় এ দিন গত তিন বছরের সফল প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রীকে মিশনের পক্ষ থেকে মেডেল ও মানপত্র দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।