পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক সমাবেশ চলছে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে (১৬-২০ জানুয়ারি)। বিশ্বের সম্পদশালী এলিট লোকেদের একটি ফোরাম হিসেবেও একে গণ্য করা হয়। দাভোস সামিটে বিশ্বের অর্থনীতি নিয়ে দিকনির্দেশক আলোচনা হবে আশা করা যায়। তবে এবার ভিন্ন একটি কারণে এটি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ইকনমিক ফোরামের সামিটে এলিটদের সমাবেশের কারণে সেখানে ব্যাপক হারে প্রস্টিটিউশন বা পতিতাবৃত্তি বেড়ে গিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। পশ্চিমের মুক্ত সংস্কৃতিতে এই ন্যক্কারজনক কাজ অবশ্য নিন্দনীয় নয়। সামিটে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিরাই কয়েক ঘণ্টা বা সারা দিনের জন্য এসকর্ট সার্ভিস নিচ্ছেন বিপুল অর্থের বিনিময়ে।
অনেক মহিলাও এতে হাজির হয়েছেন। যেমন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির স্ত্রী। তাদের সামনেও অসভ্যতা করতে কোনও রাখঢাক নেই এই বিত্তশালী এলিটদের। সামিটের ফাঁকে মনকে তরতাজা করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে এইসব তথাকথিত এলিটরা পিছপা হচ্ছেন না।
ফোরামের সভা শেষে সন্ধ্যার পরে বিশ্বের অতি ধনী ও প্রভাবশালীরা বিনোদনের জন্য এসকর্টদের সঙ্গে নিচ্ছেন। ফোরামের এই সামিটের সময় প্রতি বছরই এর যথেষ্ট চাহিদা থাকে। তবে এ বছর এই চাহিদা একটু বেশিই। সুইজারল্যান্ডের জুরিখের এসকর্ট এজেন্সি সুইস ইভের প্রধান একটি সাক্ষাৎকারে বলছেন, এ বছর তাদের ব্যবসা ‘অত্যন্ত ভালো’ চলছে। অধিকাংশ প্রভাবশালীরা সন্ধ্যায় খাবার খেতে চান সুন্দরী ও চটপটে একজন নারী ‘পতিতা’র সঙ্গে। এরপর কিছুটা সময় তার সঙ্গে ঘুরে বেড়াবেন এবং সময় কাটাবেন একান্তে হোটেলের কামরায়। এসকর্ট হিসেবে অনেক নারীই আসেন অল্প সময়ের জন্য। তাদের অধিকাংশের রয়েছে অন্য কোনও পেশা। অনেকে আবার শিক্ষার্থী। নিজের উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাতে অল্প সময়ে এত ভালো আয়ের সুযোগ তারা লুফে নেন।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম মূলত বেসরকারি আন্তর্জাতিক লবিং সংস্থা। ১৯৭১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর সদস্যরা বিশ্ব অর্থনীতি, বাণিজ্যের নানা বিষয়ে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রয়েছে। বিশ্বের মোট সম্পদের প্রায় ৭৫ শতাংশ রয়েছে এই ফোরামে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের হাতে। ফলত, এই ফোরাম বেশ শক্তপোক্ত লবিং গোষ্ঠী। আল্পস পর্বতের দাভোসে মনোরম পরিবেশে এর বার্ষিক সামিটটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদরাও (ভারতের রঘুরাম রাজন গিয়েছেন) এতে হাজির থাকেন।