পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু উত্তর ভারত। এমনকি কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে পৌঁছে গেছে। আবার কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের একদম কাছাকছি। তারসঙ্গে রয়েছে ঘন কুশায়ার দাপট। রীতিমতো ঠাণ্ডার সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি।স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
কুয়াশার দাপটের জেরে একাধিক জায়গায় দৃশ্যমানতা তৈরি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন, বাস, বিমান পরিষেবা। দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি, অন্য দিকে, রাজস্থানের বহু জায়গায় শূন্যে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। মাউন্ট আবুতে তো তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের ৬ ডিগ্রি নীচে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দিল্লি রিজ এবং লোধি রোডে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১.৫ এবং ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে সফদরজং-এর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিতে নেমেছে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পালমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।শুক্রবারের থেকে ২ ডিগ্রি কম।
রাজস্থানের বিকানেরের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। চুরুতে ১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। মধ্যপ্রদেশের নওগাং এবং ছতরপুর জেলায় শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য দিকে, জম্মু-কাশ্মীরেও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। শুক্রবার শ্রীনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ২ ডিগ্রি নীচে। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই রকম আবহাওয়া বজায় থাকবে বলেই খবর।
শনিবার ভোরের বেলা দিল্লি বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছিল ২৫ মিটারের নীচে ফলে বিমানে চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। ফলস্বরূপ ৩৪টি ডোমেস্টিক উড়ান দেরিতে ছেড়েছে। পালমে শনিবার দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটারের নীচে। কুয়াশার কারণে উত্তর রেলের ৩২টি ট্রেন দেরিতে চলছে।
হাড়হিম করা ঠান্ডা আর কুয়াশা তো আছেই, তার সঙ্গে দিল্লির বাতাসের গুণমানও ভয়ানক অবস্থায় পৌঁছেছে। বাতাসের গুণমান ঠিক করার জন্য এবং দূষণ কমাতে দু’দিন আগেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। কিন্তু বাতাসে যে ভাবে দূষিত কণার পরিমাণ বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।
তবে শুধু দিল্লি নয়, শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পঞ্জাব উত্তরপ্রদেশ,। আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই রাজ্যগুলিতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।