পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু রাজধানী। দিল্লিতে রাতেই পারদ পৌঁছে গেছে শূন্যের কাছাকাছি। এই শীতের রাতে এক হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লি। একটু আগুন পোহাতে চাওয়াই কাল হল নাবালক কিশোরের। আগুনের ধারে কে কোথায় বসবে সেই নিয়ে বচসার সূত্রপাত। সেই বচসাই পরিণতি পেল রক্তাক্ত ঘটনায়। শীতের রাতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থেকে একটু মুক্তি পেতে আগুন পোহাতে চেয়ে খুন হতে হল এক ১৫ বছরের কিশোরকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, শীতের রাতে একটু উষ্ণতার জন্য অনেকেই আগুন পোহাচ্ছিল। সেই সময় এক কিশোর আসে তার বন্ধুদের সঙ্গে। আগুনের পাশে একটু বসার জন্য জায়গা দিতে বলে। কিন্তু কেউ কিশোরের কথায় কর্ণপাত না করে, যে যার মতো বসে থাকে। এর পরেই জায়গা নিয়ে শুরু হয় বচসা। সামান্য বচসা থেকে রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। খুন করা হয় নাবালককে। পশ্চিম দিল্লির খাইলা এলাকার ঘটনা। শুক্রবারই রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। জেরায় অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে, আগুন পোহানোর সময় কে কোথায় বসবে, তা নিয়ে বচসার জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার একটি ফোন আসে। এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ফোনে জানান, পশ্চিম দিল্লির খাইলা এলাকার একটি পার্কে এক কিশোরের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে । এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিশোরের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আশেপাশের এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, নিহত ওই কিশোর রঘুবীর নগর এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকার বেশ কয়েকজন কিশোর তাঁর বন্ধু। সেই সূত্র ধরেই তাদের খোঁজে মৃত কিশোরের বন্ধুদের কাছে পৌঁছায় পুলিশ। এর পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের মধ্যে একজন জানায়, ওই এলাকার বাসিন্দা সুমিত নামে এক যুবকের সঙ্গে কিশোরের বচসা হয়েছিল। এরপরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুমিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় পুলিশের কাছে এই খুনের কথা কবুল করে সুমিত।
পুলিশকে সুমিত জানিয়েছে, রাতে সকলেই আগুন পোহাচ্ছিল। সেই সময় এক কিশোর তার বন্ধুদের নিয়ে সেখানে এসে আগুন পোহাতে চায়। সেখানে বসার জন্য জায়গা দিতে বলে। এই নিয়ে নাবালকদের সঙ্গে তাদের বচসা শুরু হয়। এর পরেই অভিযুক্তরা কিছুক্ষণের জন্য ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা বাড়ি থেকে সবজি কাটার ছুরি নিয়ে ওই নাবালক কিশোরের ওপর চড়াও হয়। তার শরীরে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ বসাতে থাকে তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। অভিযুক্ত সুমিত সহ তাকে মদদ দেওয়া অপর দুই নাবালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।