শুভজিৎ দেবনাথ ,গয়েরকাটা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বিলি কে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়েই চলছে তোলপাড় অবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় ঘর বিলিতে অনিয়ম নিয়ে উঠছে একের পর এক অভিযোগ। এবারে আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার তালিকায় নাম না থাকার জন্য রাতের অন্ধকারে প্রধানের বাড়িতে পড়তে শুরু করেছে ঢিল (পাথর)। আতঙ্কে বিডিওর দারস্ত হবার কথা ভাবছেন বানারহাটের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান । রাতের বেলা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। রাস্তা ঘাটে গেলেই লোকজন ঘিরে ধরছে তাকে। তাই বিডিওর দারস্ত হবেন বলেই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। একই সঙ্গে তারই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আবাস যোজনার ঘরের তালিকা যে সঠিক ভাবে হয়নি তা মেনে নিয়ে পুরনায় সমীক্ষা করে হতদরিদ্রদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। প্রধানের দাবি ঘর বন্টনের সমীক্ষা ও তদন্ত সঠিক ভাবে হয়নি। উল্লেখ্য, বিজেপি টিকিটে নির্বাচিত বিনোদ ওঁরাও তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, ঘর নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত হওয়ার পর যে তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে বহু নাম বাদ গেলেও এখন ও অনেক অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম তালিকায় দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাদের নাম লিস্টে রয়েছে, রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদারের স্ত্রী এর নাম । সোমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান অভিযোগ করেন, বিডিও অফিসের তরফে যে সার্ভে করা হয়েছে, তাতে যেই নাম নেওয়া হয়েছে তার একটি তালিকা অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে । যেখানে দেখা গিয়েছে অনেক প্রকৃত গরিব মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। যার কারণে রীতিমত আগুনে ঘী পড়ার পর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই জনগনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। এমনকি রাতের অন্ধকারে জখম সবাই ঘুমিয়ে পড়ছেন তখন তার বাড়ির চালে ঢিল পড়ছে। ঘটনায় তিতি বিরক্ত প্রধানের দাবি তিনি এই বিষয়গুলি নিয়ে বিডিও এর দ্বারস্থ হয়ে পুনরায় সমীক্ষা করে প্রকৃত গরীব মানুষদের আগে ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানাবেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওঁরাও জানান, ‘ যে সময় ঘরের সমীক্ষা হয় তখন আমি প্রধান নির্বাচিত হইনি। আমার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনেক প্রকৃত গরীব ব্যক্তির ঘর প্রাপকের তালিকায় ওঠে নি। আমি চাই সবাইকেই ঘর দেওয়া হোক তবে আগে প্রকৃত হতদরিদ্র ব্যক্তিদের ঘর দেওয়া হোক। ঘরের তালিকা থেকে অনেক যোগ্য ব্যক্তি বাদ পড়েছেন। তাদের প্রস্নের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাকে। আমি চাই প্রশাসন পুনরায় সমীক্ষা ও তদন্ত করে প্রকৃত গরীব ব্যক্তিদের হাতে আগে ঘর পাইয়ে দিক ।’
এবিষয়ে জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, ‘ ২০১৮-১৯ সালের ডেটা বেস অনুযায়ী আবাস যোজনার কাজ হয়েছে। যদি কোন অযোগ্য ব্যক্তির নাম তালিকা থাকে তাহলে তা বাতিল করতে বিডিও এর কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। ’