উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,গঙ্গাসাগর : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেজে উঠেছে গঙ্গা সাগর। আর কয়েকদিন পরেই গঙ্গা সাগর মেলা।চলছে শেষ মূহুর্তের কাজ। আর সেই সব কাজ দেখতে দুদিনের গঙ্গা সাগর পরিদর্শনে আসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আগামী বুধবার ৪ঠা জানুয়ারি দুদিনের সফরে গঙ্গা সাগরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক ও বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন। ১৪ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারবেন কয়েকলক্ষ তীর্থযাত্রীরা।মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে গঙ্গাসাগর মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন।তারপরে তিনি কপিল মুনি মন্দিরে পুজো দেবেন।আর তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরাএকাধিক বার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেছেন।জেলা প্রশাসন মেলার কাজে যুক্ত সমস্ত দফতরের আধিকারিক দের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক ও করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার হেলিকপ্টার ট্রায়াল ও হয়ে গেছে।মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে গঙ্গাসাগর মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন।তারপরে কপিল মুনি মন্দিরে পুজো দেবেন।গঙ্গা সাগরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি নতুন হেলিপ্যাড ময়দানের উদ্বোধন করবেন।জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করবেন।১৪ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারবেন কয়েক লক্ষ তীর্থযাত্রী।এবার কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গা সাগরে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে বলে অনুমান রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের।তাই এক মাস আগে থেকেই মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছিলো প্রশাসন।ইয়াসে কপিলমুনি মন্দিরের সোজা অংশে সমুদ্রতটে ধস নেমেছিল। নতুন করে সমুদ্রতট বানানো হয়েছে। তীর্থ যাত্রীদের থাকার জন্য ‘বাফার জ়োন’ তৈরির কাজ চলছে। মন্দিরে নতুন রঙের পোঁচ পড়েছে। কচুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ড ও গঙ্গা সাগর বাসস্ট্যান্ড থেকে মেলাপ্রাঙ্গণ চত্বর ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর রাস্তা পর্যন্ত আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে।৮-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়,পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীরা দফায় দফায় সাগরে এসেছেন।তা ছাড়াও, সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা গত একমাস ধরে বার বার মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। তাঁকে এই মেলা আয়োজনের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে ২৭ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর মেলা অফিসে প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠককরেছে। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই যাতে সাগরদ্বীপকে মেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে ফেলা যায়, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে।ত্রিমাত্রিক মডেলের মাধ্যমে এবার গঙ্গাসাগর মেলায় তুলে ধরা হবে রাজ্যের পাঁচটি মন্দির। অস্থায়ী কাঠামোর মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে রাজ্যের পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী মন্দিরকে। অনেক পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় এসে তারাপীঠ, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও জহুরা কালীবাড়ি দর্শনের সুযোগ পাবেন। অনলাইনে পুজো দেখতে পাবেন।তাছাড়া এবারে মেলা চলা কালীন তিনদিন বেনারসের আদলে সুমুদ্রতটে সন্ধ্যাআরতী হবে ।দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে মেলার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।এছাড়া, মেলার পরিকাঠামোর কাজ শেষের দিকে।’’ মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেলায় সবধরনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।নতুন করে সমুদ্রতট তৈরি করা হয়েছে।প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।’’আবার নতুন করে সেজে উঠছে গঙ্গা সাগর।