পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয়রা ভ্যাকসিনের বিকল্প শব্দ হিসেবে ‘ইনজেকশন’কেই ব্যবহার করতেন এতদিন। সূচের ব্যবহার না করেও যে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে, এই সুখবর ভারতে প্রথম শোনায় ভারত বায়োটেক। দীর্ঘদিন ‘ট্রিপ্যানোফোবিয়া’য় (ইনজেকশনের ভয়) ভোগা মানুষজন বেশ স্বস্তি পান এই খবর শুনে। নাকের মাধ্যমে ভ্যাকসিন বা নেজাল ভ্যাকসিন নিয়ে আগেই গবেষণা শুরু করেছিল ভারত বায়োটেক। আর তাদের ভ্যাকসিন যে নিরাপদ তা জানিয়ে দেয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ( ডিসিজিআই)।
গত নভেম্বরে ভারত বায়োটেকের নেজাল ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয় ডিসিজিআই। এবার ওই নেজাল ভ্যাকসিনের দামও প্রকাশ করল ভারত বায়োটেক। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নেজাল ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ৮০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে নিতে গেলে এর সঙ্গে দিতে হবে আরও ৫ শতাংশ জিএসটি। সব মিলিয়ে ৮৪০ টাকা। কিন্তু ৮৪০ টাকায় বেসরকারি হাসপাতাল এই টিকা নাও দিতে পারে। কারণ এর সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পরিষেবার চার্জও ধার্য করতে পারে। সেক্ষেত্রে মোট দাম হতে পারে প্রায় ৯০০ টাকার কাছাকাছি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই টিকা কিনতে পারবে ৩২৫ টাকায়। ২০২৩ এর জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহ থেকে পাওয়া যাবে এই টিকা। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই ব্যবহার করতে পারেন ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন ইনকোভ্যাক। জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে বাজারে এলেও কো-উইন পোর্টালে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এখন থেকেই নাম নথিভুক্ত করা যাবে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই টিকা তৈরি করেছিল ভারত বায়োটেক।
এটি বিশ্বের প্রথম ইন্ট্রানেজাল কোভিড ভ্যাকসিন যা হেটেরোলোগাস বুস্টার ডোজ হিসেবে অনুমোদিত হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে যাদের উপর এই নেজাল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের লালায় উল্লেখযোগ্য মানের অ্যান্টিবডির স্তর পাওয়া গেছে। শ্বাসযন্ত্রের নালীতে যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে তা কার্যকরীভাবে কোভিড সংক্রমণ আটকাতে পারবে বলে মত সংস্থার কর্ণধারদের। চীন-জাপানে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্ব জুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কোভিড। এই নেজাল বুস্টার ডোজ মানুষকে অনেকটাই বিপদমুক্ত করবে বলে মত চিকিৎসক মহলের।