দেবশ্রী মজুমদার: বীরভূম: পাথর খাদান শিল্প সচল রাখতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, মানুষের জীবন জীবিকার প্রশ্নে যখন তখন পাথর খাদান বন্ধ করা যাবে না। তাহলে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন সরকারি উদ্যোগে পাথর খাদান শিল্প স্বচ্ছতার পথে। ন্যাশানাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ ও মাইনস এ্যাক্ট মাথায় রেখে কিভাবে স্বচ্ছতা বা বৈধতার সাথে পাথর খাদান ও ক্রাসার শিল্পের কাজ চলতে পারে সেদিকেই নজর জেলা প্রশাসনের। পাথর খাদান ও ক্রাশার ব্যবসায়ী সমিতির নতুন কমিটির সভাপতি নাজের হোসেন মল্লিক ও সম্পাদক তাপস যাদব সিউড়ীতে তেরো ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাঁরা জেলা শাসকের কাছে মৌখিক আশ্বাস পেয়েছেন। সোমবার বীরভূম জেলা পাথর খাদান বন্ধ থাকলেও, কেউ কেউ অবৈধভাবে চালু রেখেছে। সেব্যাপারে বৈধ মালিক পক্ষের বক্তব্য, আমরা চাই, বৈধ কাগজপত্র দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হোক। আমরা চাই অনলাইনের মাধ্যমে সমস্ত ট্যাক্স নেওয়া হোক। সরকারের ঘরে পুরো রাজস্ব জমা পড়ুক। সোমবার পাথর খাদান ও ক্রাশার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তাপস যাদব বলেন, পাঁচজন খাদান মালিকের বৈধ কাগজ। আমরা আবেদন রেখেছি সরকারি নিয়ম মেনে সমস্ত খাদানের বৈধতার বিষয়টি দেখা হোক। এই শিল্পের সঙ্গে বহু মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয় সারা দেশের উন্নয়ন অর্থাৎ ইনফ্রাস্ট্রাকচার জড়িয়ে আছে। এছাড়াও সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্বর বিষয় আছে। শুধু নলহাটিতে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনকোটি রাজস্ব আদায়ের ব্যাপার আছে। এখন যেমন অনেক পাথর খাদান বন্ধ আছে। কিছু খোলা আছে। এতে সাধারণ মানুষ থেকে সবার ক্ষতি। আমরা চাইছি অনলাইনের মাধ্যমে পুরো ট্যাক্স সরকারের খাজানায় পৌঁছে যাক।
একই কথা বলেন বাহাদুর পুরের (সরকার পক্ষের রাজনৈতিক নেতা ঘনিষ্ঠ ) পিন্টু মশকরা বলেন, আমরা চাই, রাস্তায় নয় খাদানেই অনলাইনের মারফৎ সব ট্যাক্স সরকারের খাজানায় জমা দিতে। সরকারও চাইছে, এভাবেই স্বচ্ছতা আনতে। হয়তো একটু সময় লাগছে। তবে এটা হবে। এব্যাপারে আমরা আশাবাদী। সমস্ত খাদান ও ক্রাশার বৈধতার মধ্যে ব্যবসা করবে, কোনো অবৈধ ব্যবসা করতে আমরাও কেউ চাই না। বৈধ কাগজ হাতে নিয়ে স্বচ্ছ ব্যবসা করতে সবাই আগ্রহী। এ্যাসোসিয়েশন এব্যাপারে সব সময় জেলা প্রশাসন বা সরকার সাহায্য করতে প্রস্তুত।