পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের ৫৪ টি হাসপাতালে মঙ্গলবার ছিল মক ড্রিল। এই তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতার তিন হাসপাতালের। আজ দেশজুড়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি পরিকাঠামো কতটা কোভিড মোকাবিলায় তৈরি তা পর্যালোচনা করতেই মক ড্রিল। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা ভয়ংকর আকার নেয়নি। তবু স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে প্রস্তুত রাখছে রাজ্য সরকার। ভবিষ্যতে যদি সংক্রমণ বাড়ে সেক্ষেত্রে হাসপাতালগুলি যাতে সঠিকভাবে পরিষেবা দিতে পারে তা দেখতেই এই সিদ্ধান্ত।
এদিন সকাল থেকেই গোটা রাজ্যের চোখ ছিল বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালের দিকে। কারণে এই মুহূর্তে গতকাল ভর্তি হওয়া দুই করোনা আক্রান্ত ভর্তি রয়েছে যেখানে। আজ গোটা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে করোনা মোকাবিলায় হাসপাতালগুলিতে যে পরিষেবাগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিকে পর্যালোচনা করে দেখা হয়।
এক্ষেত্রে যেমন বাইপ্যাপ সাপোর্টকে খতিয়ে দেখা হয়েছে ঘটিয়ে দেখা হয়েছে ভেন্টিলেটর মেশিন এবং অক্সিজেন ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাকেও। হঠাৎ করে কোভিডগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা করা যাবে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়।
এছাড়াও জেলায়-জেলায় কতজন করোনার চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত ডাক্তার রয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের জোগান, করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ও পরিকাঠামো, অ্যাম্বুলেন্সের (লাইফ-সাপোর্ট থাকা অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যাও) প্রাপ্যতার মতো বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে। ফের সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ না পড়ে সেই দিকটি শক্ত করতেই এই ব্যবস্থা কেন্দ্রের।
এদিন কলকাতায় বেলেঘাটা আইডি ছাড়াও শম্ভুনাথ পন্ডিত এবং এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালেও একইভাবে এই ড্রিল সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত এদিন এই ড্রিল পর্যবেক্ষণের জন্য ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। একইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। মোটের উপর এই মক ড্রিলের মাধ্যমে কতটা প্রস্তুত রাজ্যের স্বাস্থ্য অবস্থা তা আরও একবার খতিয়ে দেখল নবান্ন। মোটের উপর ৫৪ টি হাসপাতালেরই রিপোর্ট সন্তোষজনক।
কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো সমস্যা প্রকাশ্যে এসেছে সেগুলি সিএমওএইচ স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে পর্যালোচনা করে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।