পুবের কলম প্রতিবেদক: শিক্ষাক্ষেত্রে খড়্গপুর আইআইটির কথা কারুর অজানা নয়। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত। এবার খড়্গপুর আইআইটির ৬৮ তম সমাবর্তনী অনুষ্ঠানে সেই সাফল্যের কথাই তুলে ধরলেন আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর ভি কে তেওয়ারি। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, এবার বিদেশেও পাড়ি দিতে চলেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মালয়েশিয়ায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
সমাবর্তনী অনুষ্ঠানে তেওয়ারি জানান, শিক্ষাপ্রসারে আইআইটি’র ভূমিকা নজির গড়েছে। এই প্রতিষ্ঠান একাধিক কৃতী শিক্ষার্থীর জন্ম দিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম বিনোদ গুপ্ত, সুন্দর পিচাই। প্রাক্তনীদের এই সাফল্য শিক্ষার মানকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
অনুষ্ঠানে তিনি বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বলেন, ভারতের বাইরে আন্তর্জাতিক স্তরে উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে অদূর ভবিষ্যতে মালয়েশিয়ায় আইআইটি স্থাপন করা হতে পারে।
একই সঙ্গে তিনি জানান, এই ইনস্টিটিউটটি বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকতে চায়। তবে মালয়েশিয়ায় নতুন কলেজ স্থাপনের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এটি একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
তেওয়ারি জানিয়েছেন, খড়্গপুর আইআইটির লক্ষ্য শিক্ষাক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের দিক দিয়ে বিশ্বব্যাপী নিজেদের প্রসারিত করা। মালয়েশিয়ায় এই আইআইটি গড়ে উঠলে এটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি বড় পদক্ষেপ। এই প্রতিষ্ঠানটি ৭৫টি উদ্ভাবনের কাজকে সহযোগিতা করছে। এগুলি সংস্থার কর্মী এবং গবেষকদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। গত দুই বছরে আইআইটি খড়্গপুরের প্রকল্প উদ্ভাবনের সাফল্যের বিষয়গুলি তুলে ধরে আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর ভি কে তেওয়ারি জানান, শিক্ষার্থীদের তৈরি করোনা ভাইরাসের জন্য কোভিরাপ ডায়াগনস্টিক কিট ৬.৭ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও, অন্যান্য অনেক সফল নতুন ডিভাইস এক কোটিরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল।
পাশাপাশি তিনি বলেন, এই ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান ২৬০ শয্যার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসও স্থাপন করেছে।
এদিনের এই সমাবর্তনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইআইটির প্রাক্তনী পিটার চ্যান। বর্তমানে তিনি হেরনস বনসাই লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।