পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আলিয়া পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীরা মঙ্গলবার এক প্রেস কনফারেন্স করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি হস্তান্তর করার সম্ভাবনা নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, সে সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ছাত্রছাত্রীরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, পার্ক সার্কাসে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টো দিকে আলিয়ার যে জমিটি রয়েছে, তাতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল, খেলার মাঠ এবং দূর থেকে আসা কর্মচারীদের জন্য স্টাফ কোয়াটার তৈরি করার পরিকল্পনা প্রথম থেকেই রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সাল থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। এছাড়া আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এখনও হোস্টেল সমস্যায় ভুগছেন। গরিব সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের ঘরভাড়া নিয়ে কলকাতায় থাকতে হচ্ছে। থাকার সমস্যায় অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতেও বাধ্য হচ্ছেন। প্রেস কনফারেন্সে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়ে বোঝানো হচ্ছে, ওই জমি অব্যবহৃত অবস্থায় এমনি শুধু শুধু পড়ে রয়েছে। কিন্তু তা আদৌ সত্য নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মুখপাত্ররা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আলিয়ার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে পড়ুয়ারা স্বাগত জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আলিয়া এই জমিটি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়েরই রয়েছে। বামফ্রন্ট আমলেও স্থানীয় এক বিধায়কের চোখ ওই জমিটির উপর ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবজা ছিল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরই। পরে সম্ভবত ২০১০ সালে জমিটি আলিয়ার রেজিস্টারের নামে মিউটেশন করে দেওয়া হয়। সাংবাদিক বৈঠকে ছাত্ররা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা এ সম্পর্কে সব কিছু জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। এছাড়া এই চিঠির অনুলিপি সংখ্যালঘু মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. আবুতাহের কামরুদ্দিন এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি জনাব গোলাম আলি আনসারিকেও প্রদান করেছেন।