পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : মহিলাদের পোশাক নিয়ে বেফাঁস বিতর্কে ক্ষমা চাইলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফে স্বাতী মালিওয়াল তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলার পর, মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের তরফে নোটিশ যেতেই ক্ষমা চেয়ে সেই নোটিশের উত্তর দেন যোগগুরু।
নোটিশে বলা হয়, তিনদিনের মধ্যে বাবা রামদেবকে তার করা মন্তব্য প্রসঙ্গে ক্ষমা চাইতে হবে। যোগগুরু ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের তরফে চেয়ারপার্সন রূপালী চাকানকার।
প্রসঙ্গত, দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফে স্বাতী মালিওয়াল তাঁকে (রামদেব) ক্ষমা চাওয়ার কথা বলার পর, মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশের উত্তরে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন বাবা রামদেব।
গত শুক্রবার থানেতে আয়োজিত নিখরচায় যোগ প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগগুরু বাবা রামদেব বলেন, ‘শাড়িতে মহিলারা সুন্দর লাগে, সালোয়ার কামিজ পরলে দূর্দান্ত লাগে, আমার মতে কোনও পোশাক না পরলেও মহিলারা সুন্দরী’। যোগগুরুর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ছেলে শিবসেনা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের স্ত্রী (গায়িকা)অমৃতা ফড়নবিশ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা৷
যোগগুরুর এই মন্তব্যের জেরে বিজেপি বিরোধী দল সোচ্চার হয়। প্রতিবাদে কেরলে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। সরব হয় মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ক্যাম্প। দিল্লির মহিলা কমিশন, মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশন ক্ষমা চাওয়ার দাবি করে। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে ট্যুইট করেন।
তার পরেই মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশন এই বিষয়ে বাবা রামদেবকে নোটিশ পাঠায়। সেখানে তিনদিনের দিনের মধ্যে নিজের অবস্থার স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন যোগগুরু। তারপরই মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের তরফে চেয়ারপার্সন রূপালী চাকানকার জানান, বাবা রামদেব এই ইস্যুতে ক্ষমা চেয়েছেন। আর তার নথি মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের হাতে এসে পৌঁছেছে।