পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা। এ বছর ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর দ্বীনি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। করোনার কারণে গত দু’বছর এই আয়োজন করা যায়নি। বিদেশি জামাত এবারের ইজতেমা আয়োজনে অংশ নেবে না। ২১ নভেম্বর সম্মিলিত মুনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
ভোপালের ইব্রাহিমপুরার মসজিদ শাকুর খানে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ১৯৭১ সাল থেকে ভোপালের তাজুল মসজিদে ব্যাপকভাবে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ২০০২ সাল পর্যন্ত তাজুল মসজিদ প্রাঙ্গণে ইজতেমার আয়োজন করা হতো। কিন্তু ইজতেমায় ক্রমবর্ধমান ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে ভোপাল সংলগ্ন একটি জায়গায় ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপকভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ২০ নভেম্বর রাত ৯ টা থেকে ভোপালের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে ভোপাল শহরে সমস্ত ধরণের ভারী পণ্যবাহী যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৪ দিনের এই ইজতেমায় কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় তিনশ’ একর জায়গা জুড়ে বড় বড় প্যান্ডেল করা হয়েছে। এখানে কার্যত মিনি সিটি গড়ে তোলা হয়েছে। ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন, সাড়ে চার হাজার টয়লেট এবং ১৭ হাজার মানুষের একসঙ্গে অজু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারের ইজতেমাকে পরিবেশ বান্ধব করা হয়েছে। থাকছে ৭ হাজার ডাস্টবিন, ১১টি ফায়ার ব্রিগেড, ৫ হাজার লিটার ক্যাপাসিটির ১০০০ পানির ট্যাঙ্ক। আর থাকছে ২৪ ঘণ্টার জন্য ৫ হাজার ভলেন্টিয়ার। দু’বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ইজতেমা তাই মানুষের উৎসাহ অধিক।
উল্লেখ্য, করোনাকালে দিল্লিতে নিজামুদ্দিন মারকাজ ও মসজিদে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ নিয়ে সমালোচনা হয় মিডিয়ায়। প্রশাসনও এই জামাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। বিদেশ থেকে আগত মেহমানরা বিড়ম্বনায় পড়েন, অনেককে জেলেও কাটাতে হয়। তাই ভোপাল ইজতেমায় বাইরের মেহমানদের উপস্থিত এ বছর নেই।