পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আধার কার্ড নয়, স্কুল সার্টিফিকেটকেই বয়সের বড় প্রমাণ হিসেবে মন্তব্য করল কেরল হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টে (২০১৫) বয়সের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ডকে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।
এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি বেচু ক্যুরিয়েন থমাস বলেন, যখন কোনও অভিযুক্তর বয়স নিয়ে কোনও সংশয় দেখা যায় সেক্ষেত্রে ওই অভিযুক্তর যদি স্কুল সার্টিফিকেট থেকে থাকে এবং সেখানে যদি তার বয়সের উল্লেখ থাকে তাহলে ২০১৫-র জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৯৪(২)(১) ধারায় ওই স্কুল সার্টিফিকেটই তার বয়সের সবথেকে বড় ও একমাত্র প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।
আর যদি স্কুল সার্টিফিকেট না থেকে থাকে সেক্ষেত্রে অভিযুক্তর পুরসভা বা পঞ্চায়েতের দেওয়া জন্ম সার্টিফিকেট প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে। ৯৪ (২) (২) ধারায় তা গ্রহণযোগ্য। আর যদি সেটাও না থেকে থাকে তাহলে অভিযুক্তর ‘ওসিফিকেশন’ (বয়স নির্ণয়ক) পরীক্ষা করতে হবে।
৯৪ (২) (৩) ধারায় তেমনই বলা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই মামলায় আদালত কোনও ক্ষেত্রেই আধার কার্ডকে বয়সের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেনি।
আসলে বয়স সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে আদালত। অসমের এক যুবকের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযুক্ত আদালতে দাবি করে তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। তাই মামলায় তাকে যেন নাবালক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি সে জামিনের আবেদনও জানায়।
অভিযুক্তর আইনজীবীও যথারীতি আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের জন্মতারিখ আধার কার্ড অনুযায়ী ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি। যদিও স্কুল সার্টিফিকেটে তার বয়সের তারিখ দেওয়া রয়েছে ২০০৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট স্কুল সার্টিফিকেটকেই গুরুত্ব দিতে বলেছে।