পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেরালার একটি দায়রা আদালত ২০১৩ সালে আনাভুর নারায়ণন নায়ারকে হত্যার জন্য ১১ জন আরএসএস কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। নেয়াত্তিঙ্কার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কবিতা গঙ্গাধরন, এই রায় দিয়েছেন। কেরালা স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (কেএসআরটিসি) রাজ্য-স্তরের নেতা সহ মোট এগারোজন আরএসএস কর্মীকে এই সাজা শোনানো হয়েছে। ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনকে এক প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন, বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মুরুকুমপুজা আর বিজয়কুমারন নায়ার স্ংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছেন। পাবলিক প্রসিকিউটর মুরুকুমপুজা আরও জানিয়েছেন আনাভুর নারায়ণন নায়ারকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দন্ডিত আরএসএস কর্মীরা এসেছিল আনাভুরের ছেলে শিবপ্রসাদকে আক্রমণ করতে। শিবপ্রসাদ ছিলেন সিপিআই-এর যুব শাখা এসএফআই-এর তৎকালীন অঞ্চল সম্পাদক। শিবপ্রসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বাবা আনাভুর। এরপর আনাভুরকে আক্রমণ করে ওই ১১ জন আরএসএস কর্মী। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটে। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা হলেন রাজেশ, ( ৪৭) প্রসাদ কুমার, (৩৫) গিরিশ কুমার, (৪১ ) প্রেমকুমার,( ৩৬); অরুণকুমার ওরফে আনথাপ্পান, ( ৩৬); বৈজু, (৪২); অনিল, ( ৩২); অজয়ন ওরফে উন্নি, (৩৩) সাজিকুমার (৪৩), বিনুকুমার (৪৩ ) এবং গিরিশ ওরফে অনিকুত্তন ( ৪৮)। প্রধান অভিযুক্ত রাজেশ বিএমএস পরিবহন কর্মচারী সংঘের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আনাভুরের মৃত্যু হয় এবং শিবপ্রসাদ, তার ভাই, সিপিআই(এম) কর্মী গোপকুমার এবং তাদের মা গিরিজা হামলায় গুরুতর আহত হন । তিরুবনন্তপুরম পুলিশ জানায় যে স্থানীয় ভারতীয় মজদুর সংঘ (বিএমএস) কর্মীর উপর হামলার প্রতিশোধ নিতে আরএসএস শিবপ্রসাদকে টার্গেট করেছিল। বাবাকে হত্যার সময় শিবপ্রসাদ ছিলেন স্নাতক স্তরের পড়ুয়া। শিবপ্রসাদ, তার মা এবং ভাই সবার চোখের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় আনাভুরকে । নায়ারের হত্যাকান্ডের জেরে তৎকালীন সময়ে সিপিআই( এম) এবং আরএসএসের মধ্যে ব্যপক সহিংসতা দেখা যায়। দুর্বৃত্তরা আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আক্রমণ করেছিল এবং কমপক্ষে দুটিতে আগুন দিয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনকে কয়েক দিনের জন্য এলাকায় কারফিউ জারি করতে হয়।