পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: টানা চারবছর ধরে চলছে তদন্ত। কিন্তু সোমবার গাজিয়াবাদ পুলিশ প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করল কবর দেওয়া দেহ। নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশীর ছিল বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। পথের কাঁটা দূর করতেই খুন করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এমনটাই দাবি করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ।
ওই মহিলার নাম সবিতা ২০১৮ সালে তার স্বামী, চন্দ্র বীর অপহৃত হয়েছেন বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। গাজিয়াবাদ থানার পুলিশ আরও বলেছে নিজের ওপর যাতে কোন রকম সন্দেহ না হয় তাই দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য নিজের ছোট ভাইয়ের ওপর সমস্ত দোষ চাপান। তবে পুলিশ জানিয়েছে কোন ভাবেই ওই মহিলাকে তারা তাঁদের সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখেননি। সবিতা এবং তার প্রেমিক, অরুণ, গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে, চন্দ্রবীরকে। তারপর তাকে অরুণের বাড়িতে ছয় থেকে সাত ফুট গভীর গর্ত করে পুঁতে দেয়। বিগত চারবছর ধরে দেহটি মাটিরতলায় থাকার ফলে তা কঙ্কালে পরিনত হয়েছে। দেহটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউপি পুলিশ।
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (অপরাধ) দিক্ষা শর্মা জানিয়েছেন সবিতার আচরণ কোন সময়ে সন্দেহের উর্ধে ছিলনা। তিনি বারংবার পুলিশকে ভুল পথে চালনা করতে চেয়েছেন। পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (অপরাধ) দিক্ষা শর্মা আরও জানিয়েছেন সিমেন্টের সাতফুট চেম্বার করে সেখানে রাখা হয় দেহটি। অরুণ চারবছর ধরে সেই বাড়িতেই বসবাস করছেন। হত্যায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল এবং একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। গাজিয়াবাদ পুলিশ আরও জানিয়েছে এমন সময় এই নৃশংস হত্যার কথা সামনে এলো যখন দিল্লিতে লিভ ইন পার্টনারকে হত্যা করে তার দেহ ৩৫ টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।