হাইলাইটস: হাইপারসনিক মিসাইল শব্দের চেয়ে কমপক্ষে পাঁচগুণ দ্রুত উড়তে পারে। একইসঙ্গে এ মিসাইল জটিল গতিপথে চলতে পারে; যে কারণে একে ঠেকানো কষ্টস্যা।
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির দাবি করল ইরান। দেশটির বিজ্ঞানীরা বলছেন; এই মিসাইল শত্রুর সব ধরনের রাডার ভেদ করতে সক্ষম।
অর্থাৎ শত্রুরা ইরানের এই মিসাইলকে আকাশে কোনওভাবে শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারবে না। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি-র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ জানান; ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল কিংবা পৃথিবীর বাইরের বায়ুমণ্ডলে সমানভাবে চলতে সক্ষম।
শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারবে না।’ শব্দের চেয়ে অন্তত পাঁচ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারে হাইপারসনিক মিসাইল; তবে ইরানের এই মিসাইলের গতি কতটা তা স্পষ্টভাবে এখনও জানা যায়নি।
জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন; ‘উচ্চগতির কারণে এই মিসাইল যেকোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে সক্ষম এবং আমি মনে করি আগামী কয়েক দশকেও এই মিসাইল ঠেকানোর প্রযুক্তি কেউ অর্জন করতে পারবে না।’
ইরানের মিসাইল কর্মসূচির জনক হিসেবে পরিচিত বিজ্ঞানী হাসান তেহরানি মোকাদ্দামের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে এই হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির ঘোষণা করল দেশটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন; ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারে হাইপারসনিক মিসাইল সংযোজন দেশের সুরক্ষা ও পুরো অঞ্চলের শান্তি নিশ্চিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
পৃথিবীতে কেবলমাত্র তিনটি দেশের কাছে হাইপারসনিক মিসাইল রয়েছে। এর মধ্যে ইরান ছাড়াও রয়েছে রাশিয়া ও চিন। উত্তর কোরিয়ার কাছেও এ মিসাইল থাকতে পারে। মার্কিন সরকার হাইপারসনিক মিসাইল উদ্ভাবনের শেষ ধাপে রয়েছে। এ ছাড়া ভারত; ফ্রান্স ও জাপান হাইপারসনিক মিসাইল উদ্ভাবনে কাজ করছে।
বহু বছর ধরে মার্কিন ও পশ্চিমা নিষোজ্ঞার মধ্যে থেকেও ইরান বেশকিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ভাবন করেছে। তবে দেশটি হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে এমন খবর মেলেনি।