পুবের কলম প্রতিবেদকঃ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বকেয়া টাকা মেটাল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, রাজ্যের মানুষ যাতে বিনা খরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন তার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন রাজ্যের বহু মানুষ। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিল বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা বকেয়া ছিল বলে অভিযোগ উঠে আসে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালে বেসরকারি হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মোট বিলের ৯৫ শতাংশ মিটিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে চলতি অর্থ বর্ষে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বিল বাবদ দিয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। তার মধ্যে থেকে আড়াইশো কোটি টাকা সরকারি হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১১৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল গুলির বিল মেটানোর জন্য।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যের বাজেট ছিল প্রায় ২২০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন প্রায় ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার পরিবার। শুধুমাত্র রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল নয়, রাজ্যে সাধারণ মানুষ যাতে ভেলোরে গিয়ে চিকিৎসা করতে পারে তার জন্যও রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয় সিএমসি ভেলোরের। সেখানে রোগীদের চিকিৎসা বাবদ এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা।
কয়েকদিন পূর্বে বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফ থেকে অভিযোগ উঠে এসেছিল যে, বকেয়া বিল নাম মেটানোর কারণে তাঁরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আর রোগীদের চিকিৎসা করতে পারবেন না। রীতিমতো রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে।
তবে রাজ্যের তরফ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল যে, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা করাতে চাওয়া কোন রোগীকে ফেরানো যাবে না। এবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের প্রায় ৯৫ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দিল রাজ্য সরকার।