পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রায় ৫০ বছর স্নান করেননি তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবেই তিনি পরিচিত ছিলেন। স্নান করার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই প্রয়াত হলেন ইরানের অমৌ।
ইরানের দক্ষিণে ফার্স এলাকায় দেজগায় জীবনাবসার হয় আমৌ হাজির। কয়েক দশক ধরে অমৌ হাজি স্নান করতেন না বলে শোনা যায়। অমৌর জীবন নিয়ে তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছে। স্ট্রেঞ্জ লাইফ অফ আমৌ হাজি সেই তথ্যচিত্র খুব সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে।
গোটা ইরান তাঁকে চিনত ‘পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা মানুষ’নামে। গত রবিবার ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে সেই ইরানি বৃদ্ধের।
ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি একাই থাকতেন। ইরানের দক্ষিণের রাজ্য ফার্সের একটি গ্রাম দেজঘায়ে ছিল তাঁর বাস। একটি চালা ঘরে থাকতেন তিনি। নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই এলাকার মানুষ বলেন, ৫০ বছর আগে এই মানুষটির একবার জ্বর হয়েছিল। সেই যে স্নান করা বন্ধ করেছিলেন আমৌ হাজি তারপর আর কখনও গায়ে-মাথায় জল ঢালেননি।
তবে ইরানি মিডিয়া এও জানাচ্ছে, কয়েক মাস আগে স্থানীয়রা একবার জোর করে এই বৃদ্ধকে ধরে গায়ে জল ঢেলে দিয়েছিল। যদিও সেটাকে পরিপূর্ণ স্নান বলা চলে না। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও আমৌ হাজি নাকি দিনে পাঁচ লিটার করে জল খেতেন।একটাও আয়নাও রাখতেন নিজেকে দেখার জন্য। মাথায় থাকতো হেলমেট।
কেন স্নান করেন না এমন প্রশ্নের জবাবে আমো হাজি বলেছিলেন ‘‘জল দেখলে ভয় হয়। মনে হয় স্নান করলেই অসুস্থ হয়ে পড়ব!’’ তিনি জানান, গোঁফদাড়ি বড় হলে নাপিতের কাছে দৌড়ন না । বরং আগুন জ্বালিয়ে তাতে মুখটা এগিয়ে দেন। গোঁফদাড়ি আপনা থেকেই পুড়ে ‘ট্রিম’ হয়ে যায়।