পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ও শিলিগুড়ি প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার যাওয়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। সোমবার অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে যান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিশেষ করে এই সাক্ষাৎকে সামনে রেখে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সৌজন্যের আড়ালে আদতে বাংলার সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি।
ডিসেম্বরে বাংলার সরকার ফেলে দিয়ে রাজ্যে একাংশকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের চক্রান্তের আশঙ্কা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। সোমবারের এই বৈঠককে তারই একটা অংশ হিসাবে মনে করছে ঘাস ফুল শিবির।
গতকাল শিলিগুড়িতে বিজেপি এবং সিপিএমের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে আরও বেশি করে প্রমাণিত হয়ে গেছে, অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা থেকে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এ রাজ্যে কীভাবে চলছে। ব্যক্তিগত সৌজন্য, দুর্ঘটনায় সমবেদনা, বিজয়া ইত্যাদি। কিন্তু অন্দরমহলের সূত্র বলছে, বিজেপি যে উত্তরবঙ্গকে ভাঙার চক্রান্ত করছে। পাশাপাশি ডিসেম্বর সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। বিজেপি জানে তাদের একার দ্বারা এই সরকার ফেলা সম্ভব হবে না, উত্তরবঙ্গে সেই বিষয়ে সাহায্য চাইতেই অশোকবাবুর কাছে তাঁরা গিয়েছিলেন। অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা থেকেই এখন সিপিএম এবং কংগ্রেস বিজেপির বি টিম এবং সি টিমে পরিণত হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সৌজন্যকে চক্রান্ত হিসাবে দেখছে তৃণমূল। আসলে বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়,তৃণমূলের মূর্খামি ছাড়া কিছু নয়। অশোক ভট্টাচার্য বাড়িতে এর আগে আমি, দিলীপদা গেছিলাম। উনি বর্ষীয়ান নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী ছিলেন। সেখানে বিজেপির নেতারা যদি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান, সেখানে বিতর্কের কী আছে? তৃণমূলের এখন অবস্থা, চুরি রুখতে যেখানে যা দেখছে, সেখানেই বিতর্ক দেখছে।