পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ করোনা আবহ কাটিয়ে উৎসব মুখর বাঙালি। কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুজো সমাপ্ত হয়েছে। এবার আসতে চলছে কালীপুজো, দীপাবলি। আলোর রোশনাইতে ভরে যাবে অলিগলি। রাজ্যের মানুষের কাছে বরাবরই সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সব সময় অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। তাই প্রতিদিন কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটু ছুটি নিয়ে সেই সময় আনন্দের সঙ্গে কাটিয়ে দিতে চান সকলেই।
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য উৎসবের দিনগুলোতে নিয়ম করে ছুটি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, আদিবাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের উৎসবকে কেন্দ্র করে যখন সবাই মিলিত হতে চান, সেই সময় সরকারের পক্ষ থেকে ছুটি ঘোষণার ফলে উৎসবের দিনগুলোতে সকলেই আনন্দে কাটাতে পারেন।
শারদ উৎসবকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দেওয়ায় এবার ১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর দিন পর্যন্ত টানা ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এবার আবার সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে ছুটি ঘোষণা করা হল।
কালীপুজো উপলক্ষে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ভাইফোঁটার দিন সরকারি ছুটি দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। ফলে ২৭ অক্টোবর ভাইফোঁটা উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হচ্ছে সরকারি কর্মীদের এছাড়াও ৩০ এবং ৩১ অক্টোবর ছটপুজোর জন্য জোড়া ছুটি থাকছে। হিসেব অনুযায়ী দেখতে গেলে, ২৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর কালীপুজোর জন্য তিন দিন ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে ২৩ অক্টোবর রবিবার। তারপরেই ২৭ অক্টোবর ভাইফোঁটা উপলক্ষে ছুটি। ফলে ২২ অক্টোবর শনিবার থেকে ধরলে ছয় দিন ছুটি থাকছে সরকারি অফিসগুলোতে। তারপরেই থাকছে ছট পুজোর ছুটি। এর আগে আদিবাসীদের উৎসব করম পুজোতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে করম পুজো পালন করতে পারেন সেই উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে ছুটি দেওয়া হয়। কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে ছুটির তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।