পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকে আর্থিক সহায়তার অভিযোগ স্বীকার করেছে ফরাসি সিমেন্ট কোম্পানি লাফার্জ। একটি মার্কিন আদালতে অভিযোগ স্বীকার করে কোম্পানিটি বলেছে, আইএস, আল-কায়দাসহ আরও বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করেছিল তারা। ২০১৪ সালের জুনে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখলে নিয়ে কথিত খিলাফতের ঘোষণা করে আইএস। তিন বছর ধরে পুরো অঞ্চলে হত্যা, নিপীড়ন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা। আমেরিকা ও রাশিয়াসহ ৭৯টি দেশের পাশাপাশি সিরিয়ার সরকারি ও বিদ্রোহীসহ অন্যান্য গোষ্ঠীর বহুমুখী আক্রমণে আইএস পরাজিত হয়। ২০১৭ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের স্বঘোষিত ‘খিলাফত’-এর পতন ঘটে। তবে গোষ্ঠীটি আজও বিভিন্ন দেশে সক্রিয়।
আমেরিকার আদালতে প্রথম কোনও কোম্পানি হিসেবে আইএসকে আর্থিক সহায়তার অভিযোগ স্বীকার করে লাফার্জ। এ ছাড়া মানবতা-বিরোধী অপরাধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগেও কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্যারিসে মামলা চলছে। অভিযোগ, ২০১১ সালে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পরও দেশটিতে একটি কারখানা চালু রেখেছিল লাফার্জ। ২০১৭ সালে লাফার্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ফ্রান্সের একাধিক অধিকার গোষ্ঠী। তারা জানায়, ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আইএসসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে প্রায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ ডলার অর্থসহায়তা দেয় ফরাসি কোম্পানিটি। এরপর কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয় মার্কিন সরকার। মঙ্গলবার ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্টের শুনানিতে অংশ নিয়ে লাফার্জের চেয়ারম্যান মাগালি অ্যান্ডারসন আইএসকে অর্থায়নের বিষয়টি স্বীকার করেন। বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কোম্পানির প্রাক্তন নির্বাহীরা ‘স্বেচ্ছায় সিরিয়ার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অর্থায়নের পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছিলেন।’ লাফার্জ চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এমন কর্মকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী ছিলেন তাদের ২০১৭ সালের পরই কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হয়।’ তবে লাফার্জের অংশীদার হোলসিম আইএস-কে অর্থায়নে যুক্ত থাকার খবর নাকচ করেছে।