পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কথিত আছে একসময় ঘন জঙ্গলে ভরা ছিল এই সাহাপুর গ্রাম। রেল পথে বাউড়িয়া স্টেশন থেকে ২.৫ কিলোমিটার পথ। NH-১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক য়েসমসপাঁচলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ২.৫ কিলোমিটার পথ। এই দুই যাতায়াত এর মধ্য স্থলে অবস্থিত এই গ্রাম।তখন এখানে ছিল ডাকাত দের বসবাস. এই স্থানে পুজিত হতেন মা লুট কালী।তখন লুট বলতে বোঝাতো ডাকাতি। ডাকাতরা মা কে পূজো করার পর গভীর রাতে ডাকাতি করতে বের হতেন। সেই সময় দেবীর উচ্চতা ছিল ১৪ ফুট উচ্চতায় বর্তমানে ১৫ ফুট উচ্চতায় তৈরি হয়।
কথিত আছে আগে নর বলী দেওয়া হতো। এই স্থানে মানুষের রক্ত পাওয়া গেছে। পরবর্তী কালে ইংরেজ রা যখন আমাদের দেশ শাসন করতে শুরু করে তখন ইংরেজ রা ডাকাত দমন শুরু করে।কারণ ইংরেজরা ভেবেছিল ডাকাতরা তাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
.যথারীতি ইংরেজ দের উদ্দেশ্য সফল হয়।এবং এই সাহাপুর গ্রাম থেকে ডাকাতরা পালায়।কিন্তু দেবীর এই স্থান ও মুর্তি থেকে যায়। পরবর্তী কালে এই দেবী পুজোর খবর যায় বর্ধমানের রাজার কাছে।
তিনি এই পুজোর দায়িত্ব নেন। তার সকল প্রজা ও লেঠেল বাহিনী কে নিয়ে দীর্ঘ দিন পুজো করতে থাকেন।পরবর্তী সময় এই পুজোর দায়িত্ব নেন সাঁকরাইলের জমিদার নৃপেন ঘোষ।এই সময় থেকে লুটের পদ্ধতি বদল হয়।
মায়ের প্রসাদ লুট শুরু হয়।পরবর্তী কালে ফের পুজোর দায়িত্ব নেন সাহাপুর রায় বাড়ি আশু রায়।ইনি কিছু বছর করা পর পুজোর দায়িত্ব নেন সাহাপুর পাল বাড়ি। কিন্তু এনারা ঠিক ভাবে পরিচালনা না করতে পারায় আবার পুজোর দায়িত্ব পড়ে সাহাপুর রায় বাড়ি তারাপদ রায় বাবুর উপর।ইনি দীর্ঘ দিন পুজো পরিচালনা করতে থাকেন গ্রামের সকল মানুষ কে নিয়ে দায়িত্ব সহকারে।প্রায় তিন লক্ষ টাকার ব্যায় হয় এই পূজাতে বলে জানালেন দেবত্তম রায়।
বর্তমানে এই পুজো বারোয়ারি পূজায় পরিণত হয়।বর্তমানে সম্পাদক অনুজ ঘোষ। সভাপতি সৌরেন ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর ঘোষ।