পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: নিউমোনিয়ার হাত থেকে বাঁচতে এবার টিকা আসতে চলেছে বাজারে। মঙ্গলবার কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষণাগারে পরীক্ষামূলকভাবে টিকার ট্রায়াল শুরু হয়।
পরীক্ষা সফল হলে শিশু থেকে বয়স্ক সব ধরনের মানুষই এই টিকা নিতে পারবেন। আপাতত ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সি পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে এই টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
তার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এই টিকার ট্রায়াল প্রথম হলেও, এই নিয়ে নিউমোনিয়ার টিকার চতুর্থ ট্রায়াল হচ্ছে।
এর আগে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নিউমোনিয়া টিকার তিনটি ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্রের খবর, টিকাটি নেওয়ার আগে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার জন্য তাঁরা শারীরিকভাবে কতটা প্রস্তুত তা যাচাই করা হয়। পরীক্ষায় সব রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই টিকা নেওয়া জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, টিকা নেওয়ার পরেও স্বেচ্ছাসকদের কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর অনেকসময় হালকা জ্বর আসতে পারে টিকা গ্রহণকারীর। সেক্ষেত্রে চিন্তার কিছু নেই।
তবে টিকা নেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি জ্বর উঠলে রিসার্চ স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবীদের।
এ ছাড়া টিকা নেওয়ার জায়গায় কোনও ইনফেকশন হয়েছে কি না, তা খেয়াল রাখতে বলা হচ্ছে। বেগতিক কিছু বুঝলেই ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে রিসার্চ স্টাফেদের সঙ্গে। একইসঙ্গে রিসার্চ স্টাফেদেরও বলা হয়েছে যাতে ৭ দিন তাঁরা টিকা গ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখেন।
উল্লেখ্য, এর আগে দেশজুড়ে ১৭ বছর বয়সি ও পঞ্চাশোর্ধ্বদের শরীরে ‘প্রেভনার ১৩’ নামের নিউমোনিয়ার টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। ছয় সপ্তাহ ধরে চলে এই ট্রায়াল। এরপর ২০২১ সালে মে মাসে ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সিদের ওপর এই টিকার পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের অনুমতি দেয় ডিসিজিআই।
ভারতে মোট পাঁচটি হাসপাতালে নিউমোনিয়া টিকার ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়। এরমধ্যে রাজ্যে একমাত্র স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনকেই বেছে নেওয়া হয় এই টিকার ট্রায়ালের জন্য। এই ট্রায়ালে প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হয়েছেন চিকিৎসক শান্তনু মুন্সি।