পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সউদি আরব আরও একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, মাহরম ( শরীয়াহ নির্দিষ্ট রক্ত সম্পর্কীয় পুরুষ আত্মীয়) ছাড়াই হজ ও উমরাহর অনুমতি দেওয়া হবে এরপর থেকে। সউদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রকের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ডা. তাওফিক আল রাবিয়া ঘোষণা করলেন হজ ও উমরাহতে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য আর কমপালসরি মাহরম বা পুরুষ সঙ্গী থাকার প্রয়োজন থাকছে না।
পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকেই পবিত্র হজ ও উমরাহ পালনের জন্য আসুক না কেন মহিলারা স্বাধীনভাবেই মাহরম ছাড়া সউদি আরবে আসতে পারবেন। কায়রোর সউদি দূতাবাস এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল, সেই বৈঠকে হজ ও উমরাহ মন্ত্রী এই ঘোষণা দিলেন।
অনেকে মনে করছেন সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান সউদি সরকারের এটা দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। কেন-না এতদিন মাহরম ছাড়া মহিলাদের হজ ও উমরাহ পালনের কোনও অনুমতি ছিল না, সেই ধর্মীয় নির্দেশনা ও ঐতিহাসিক পরম্পরা তুলে দেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সউদি আরবের বর্তমান শাসক।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে মাহরম ছাড়াই হজের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেই অনুমতি ছিল ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের জন্য এবং তারা যদি একটি গ্রুপ করে একসঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই নিয়মে এ বছর মহিলারা অনেকেই হজ সম্পাদন করেছেন। কিন্তু এবার মহিলাদের আরও সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা হল। এ ছাড়াও ডা. আল রাবিয়া আরও ঘোষণা দিয়েছেন উমরাহর জন্য কোনও কোটা সিস্টেম থাকছে না।
পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে উমরাহ পালনের জন্য সউদি আরবে আসতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা হাতে পাওয়ার সবরকম ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। হজ ও ওমরাহ খরচ কিছু কম করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ডা. আল রাবিয়া।
অবশ্য হজ ও উমরাহ মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সউদি সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশনা জারি করেনি। তবে অনেকেই মনে করছেন সউদি আরবের বর্তমান ডিফ্যাক্টো শাসক যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমন বাদশা সলমন ও খাদেমুল হারামাইনের সুযোগ্য পুত্র।
তিনি সংস্কারের নামে এই ধরনের অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেগুলি আরবের পরম্পরা এবং ইসলাম সম্মত নয়। তাই হজ মন্ত্রীর এই ধরনের ঘোষণায় যুবরাজের সিলমোহর রয়েছে বলে অনেক মনে করছেন।