পুবের কলম প্রতিবেদক: কাশ্মীরের হুরিয়াত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানীর জামাতা আলতাফ আহমদ শাহের মৃত্যু হল নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে সীলমোহর লেগে যায় আলতাফের গায়ে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-আলতাফকে গ্রেফতার করে ২০১৮ সালে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয় সন্ত্রাসে অর্থায়ন নিয়ে। গ্রেফতারের পর তাকে দিল্লির তিহার জেলে নিয়ে আসা হয়। আলতাফের শরীরের অবনতি হয় জেলে থাকার সময়। আলতাফের মেয়ে রুয়া শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে মানবিক আবেদন জানান তাঁর আব্বুকে দিল্লির এইমস-এ ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য, কেননা ডায়াবেটিক ও উচ্চরক্তচাপে ভুগতে থাকার পর ক্যানসারে আক্রান্ত হয় আলতাফ।
আলতাফের কন্যা দিল্লির হাইকোর্টে আবেদন জানালে ৩ অক্টোবর আলতাফকে এইমস-এ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। আলতাফের কন্যা অক্টোবরে ট্যুইটারে লেখেন দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের পরও ২৭ ঘণ্টা পার হয়ে গেল এখনও তার আব্বুকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল থেকে এইমস-এ পাঠানো হল না। তিনি জানান, ৫ অক্টোবর রাতে এইমস-এ স্থানান্তরিত করা হয় আলতাফকে। রুয়া শাহ লিখেছেন মৃত্যুপথযাত্রী তার আব্বুর সঙ্গে পরিবারের কারও সাক্ষাৎ করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। ১১ অক্টোবর আলতাফের কন্যা ট্যুইটার মারফত জানিয়েছেন, ইন্না লিল্লাহে ইন্না ইলাইহে রাজেউন। আব্বু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে, বন্দি অবস্থায়। উল্লেখ্য, আলতাফ শাহ প্রথম জীবনে শাল বিক্রেতা ছিলেন। শীতকালে কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে শাল বিক্রির জন্য আসতেন। আলি শাহ গিলানির জামাতা হওয়ার পরই মিডিয়ায় আসতে থাকে তার নাম।