ইনামুল হক, বসিরহাট: রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শুভ প্রসন্ন এর নেতৃত্বে ২১ জনের একটি প্রতিনিধি দল বসিরহাটের ধান্যকুড়িয়ার জমিদারদের স্থাপিত স্থাপত্য এবং ধান্যকুড়িয়া গাইন বাড়ি ও গাইন উদ্যান পরিদর্শনে আসেন। রবিবার বিকাল বেলা গাইন বাড়ির ইন্দো- ইউরোপীয় আঙ্গিকের এই স্থাপত্য দেখে মুগ্ধ হেরিটেজ কমিটি। এদিন তারা শুধু ধান্যকুড়িয়া গাইন উদ্যান দেখেননি, পাশাপাশি ধান্যকুড়িয়ার সাউ, বল্লভদের জমিদারবাড়ি ঘুরে দেখেন। এরপর তারা ধান্যকুড়িয়া হাইস্কুলে যান। বসিরহাট টাকি রোডের ধারে অবস্থিত ধান্যকুড়িয়া গাইন উদ্যানের ঐতিহ্যশালী এই স্থাপত্য প্রায় ২৭ বিঘা জমির উপরে ১৫০ বছর আগে পাট ব্যবসায়ী মহেন্দ্র চন্দ্র গাইন এই ধান্যকুড়িয়া গাইন উদ্যান প্রতিষ্ঠা করেন।
নতুন প্রজন্মের বংশধর মনোজিৎ গাইন বলেন, ২০০৮-০৯ সালে রাজ্য সরকার নিজেদের মালিকানায় নিয়ে নেয় এটিকে। সংস্কারের অজুহাতে এখানকার প্রথম নারী শিক্ষালয়টি (বালিকা হোম)তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে এই স্থাপত্যটি ভগ্নদশায়। এই অবস্থায় হেরিটেজ এর তকমা পেতে চলেছে। এর আগে হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধি দল বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতুগড়-এর প্রাচীন ঐতিহ্য ও পুরনো সংগ্রহশালা নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনে করেন। বলাবাহুল্য, বিভিন্ন সময় ধান্যকুড়িয়া থেকে দাবি উঠেছিল যে ধান্যকুড়িয়াকে হেরিটেজের ঘোষণা করা হোক। এই নিয়ে সমাজকর্মী ছন্দক বাইন উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসককে একাধিকবার লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি নবান্নে আবেদন করেছেন। যাতে ধান্যকুড়িয়াকে ঘোষণা করা হয় রাজ্য হেরিটেজ হিসেবে। অবশেষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ধান্যকুড়িয়া হেরিটেজের তকমা পেতে চলেছে। স্বভাবতই রাজ্য হেরিটেজ কমিটির পরিদর্শনের পর খুশির হাওয়া ধান্যকুড়িয়া গ্রামে।
আগামী দিন ছোট, বড় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের জীবিকা অর্জনের পথ খুলে যাবে। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে ও সৌন্দর্যায়নে আরও বেশি বেশি করে পর্যটকরা আসবে ধান্যকুড়িয়া গ্রামে এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।