পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ করোনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স। মাঙ্কিপক্সের পর এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে টমাটো ফ্লু। ল্যানসেট ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বয়স্কদের নয়, বরং শিশুদের মধ্যে টমেটো ফ্লু ছড়াচ্ছে বেশি। গত কয়েকদিনে দেশে ৮২ জনের বেশি শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওড়িশায় মোট ২৬ জন আক্রান্ত। যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা ঘিরে দুশ্চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালেও শনিবার প্রকাশিত একটি ল্যানসেট সমীক্ষা অনুসারে, ৬ মে কেরালায় প্রথম ভাইরাস আক্রান্তের কথা জানা যায়।
নতুন এই ভাইরাসে বড়দের থেকে ছোটদের নিয়েই চিন্তা বেশি বলছেন চিকিৎসকরা। অন্ত্রের ভাইরাস থেকে এই রোগের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্করা এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম। কিন্তু ছোটদের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না। সেই কারণেই ছোটরাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। টমেটো ফ্লু আক্রান্তের জ্বরের পাশাপাশি শরীরে লাল, যন্ত্রণাদায়ক ফোসকা হয়।
ক্রমেই বড় হয়ে কার্যত টমেটোর আকার ধারণ করে ফোসকা গুলি। এর পাশাপাশি গায়ে ব্যথা, জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, ক্লান্তির মতো একাধিক সমস্যা হয় রোগীর। চিকিৎসকদের দাবি,এই অসুখের লক্ষণ অনেকটা চিকুনগুনিয়ার মতো। বহুক্ষেত্রে আক্রান্তের বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়ার মতো লক্ষণও দেখা গিয়েছে।
শিশুদের পরিচ্ছন্ন রাখা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করারও নিদান দিয়েছেন, সঙ্গে নিতে হবে যথেষ্ট বিশ্রাম।
কোল্লাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কিছু জেলাতেও এই রোগের সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া গেছে। কেরল-তামিলনাড়ু সীমান্তে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। জ্বরের উপসর্গের হদিশ মিললেই করা হচ্ছে পরীক্ষা।
যদিও এটি নতুন কোনও ভাইরাস নাকি চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গির প্রভাবে হচ্ছে – তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেরলের বিভিন্ন অংশে এই রোগের সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া গেলেও তা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এই নতুন রোগের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন চিকিৎসা বিশারদেরা। তাই নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা পদ্ধতির কথা এখনই নিশ্চিত ভাবে উল্লেখ করা হয়নি। ফোস্কাগুলি চুলকালে বা গলে গেলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।