পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পড়াশোনা করতে অনেকেই ভালবাসে না!তাই পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়ার জন্য নানান ফন্দি আঁটতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা।কিন্তু স্কুলে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে খুনের ঘটনা একেবারেই বিরল!শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য।এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে গাজিয়াবাদের মাসুরি থানার অন্তর্গত নানকাগড়ি গ্রামে।স্কুলে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে স্কুলেরই অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে গলা টিপে খুন করল ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির অন্য আর এক পড়ুয়া।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পড়ুয়ার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের।নিহত পড়ুয়ার নাম নীরজ কুমার।বর্তমানে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ছিল নিহত পড়ুয়া।
সূত্রের খবর, খুনের পর নিজেই স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে যায় সে। এবং সেখানে গিয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে সে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ তাঁর কথা বিশ্বাস না করলেও,পরে নীরজ কুমারের মৃতদেহ খুঁজে পেয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা।
তবে ঠিক কী হয়েছিল? স্কুলে যেতে ভাল লাগে না বলে কেনই বা খুন করার মতো চরম পদক্ষেপ নিল অভিযুক্ত কিশোর?
পুলিশের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ওই পড়ুয়া জানিয়েছে, তার বয়স ১৬ বছর। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রর স্কুলে যেতে একেবারেই ভাল লাগত না।পড়াশোনাতেও ভাল ছিল না। পরীক্ষায় নম্বর পেত খুবই কম। দিনে দিনে তার অনাগ্রহ বেড়েই চলছিল। সে সুযোগ খুঁজছিল কী ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তখন সে শুনেছিল “জেলে” গেলে পড়াশোনা করতে হয়না। তারপরেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
অভিযুক্ত পুলিশকে আরো জানায়, জেলে যেতেই সে নীরজকে হত্যার ছক কষেছিল। খেলার অজুহাতে সে প্রতিদিন সন্ধ্যায় নীরজকে নিয়ে বেরতো। তার লক্ষ্য ছিল দিল্লি-মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারের নিচে নীরজকে খুন করা।গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সে নীরজকে নিয়ে ঐ জায়গায় যায় এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় নীরজের শ্বাসরোধ করে কাচের বোতল দিয়ে গলা কেটে দেয়। নীরজের মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পরই সে থানায় যায়।ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিশুকে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।