পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে বিরোধীরা সভা-সমিতি করতে পারছে না। নানাভাবে তাদের আটকানো হচ্ছে। তাই আদালত হস্তক্ষেপ করুক। প্রয়োজনে গাইডলাইল তৈরি করে দেওয়া হোক। এমনই দাবিতে করা শুভেন্দুর অধিকারীর আর্জি শনিবার খারিজ করল কলকাতা উচ্চ আদালত।
রাজ্যের বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আদালতে দাবি করেন, বাংলার বিরোধীদলগুলি যখনই কলকাতা বা জেলায় কোনও কর্মসূচি নিচ্ছে, তখনই তা আটকে দিচ্ছে প্রশাসন। দেওয়া হচ্ছে না সভা-সমিতি, মিছিল বা বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে আটকে দেওয়া হচ্ছে বিরোধী নেতাদের গাড়ি বা কনভয়। যখন তখন যেখানে সেখানে আটকে দেওয়া হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাদের। কখনও কখনও গ্রেফতারও করা হচ্ছে। অভিযোগ, বিরোধীদের আটকে দেওয়া হলেও, অবাধে বিচরণ করছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা।
জানা গিয়েছে, শুভেন্দুর দায়ের করা এই মামলা আগেই শুনানি শুরু হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি।
শনিবার সেই রায় প্রদান করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুর গাইডলাইন তৈরির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সাংবিধানিকভাবে রাজ্য সরকারের হাতে। তাই রাজ্য প্রশাসন যা বুঝবে তা করবে। সেই জায়গায় রাজ্যের হাত-পা বেঁধে দিতে পারে না আদালত। প্রশাসন যদি মনে করে বিরোধীদলের সভা, মিছিল বা কর্মসূচির জন্য আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, তাহলে যে কোনওরকমের পদক্ষেপ নিতে পারে। এমনকি বিরোধী দলের সভা, মিছিল বা কর্মসূচির অনুমতি দিয়েও পরে তা বাতিল করতে পারে বা প্রত্যাহারও করতে পারে।
একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা জারি করার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। খেয়াল রাখতে হবে উপযুক্ত ক্ষেত্রেই যেন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। একইসঙ্গে আদালত বিরোধী দলনেতার আইনজীবীকে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে বলেন।