পুবের কলম প্রতিবেদক: সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপর সেই ইস্যু নিয়ে ট্যুইট করে দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারি দাবি করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার একই ইস্যু নিয়ে রাজভবনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজভবনে যান মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাজদা আহমেদ, মালা রায়, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস রায়। এই প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নালিশ জানান এবং অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবি তোলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে কথা বলেন তৃণমূল প্রতিনিধিদল। তাঁরা একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কুণাল ঘোষরা দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারি দাবি করেন।
এ দিন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, আমরা মর্মাহত। বিজেপির একজন সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন, তার প্রতিকার দরকার। আমরা তাঁকে দেখেছি বিভিন্ন বিষয়ে ট্যুইট করতে। আমরা বলেছি, মুখ্যমন্ত্রীর এই অপমান নিয়ে যেন তিনি প্রকাশ্যে মতামত জানান। যেভাবে বাবা-মা টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছেন। আমরা তাঁর কঠিন শাস্তি দাবি করছি। নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। বিগত দিনে মা দুর্গাকে নিয়ে বলেছিলেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বলেছেন। আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অ্যাটাক করা হয়েছে, বাবা-মা তুলে কথা বলা হয়েছে। তিনি সব বিষয়ে ট্যুইট করেন।
এটাও দেখুন। আমরা কী আশা করব? রাজ্যপালের কথায় তো বিজেপির কথার প্রতিফলন। ওনার বিজেপির পৃষ্ঠপোষকতা করা। কিন্তু আমরা দেখব। বল ওনার কোর্টে। আমরা দেখব উনি কী করেন। উনি কিছু বলেছেন, আমরাও কিছু বলেছি। আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে রাজনৈতিকভাবে তাঁর কাছে এসেছি। এবার উনি বিবেকের ডাকে সাড়া দেবেন, কী করবেন, সেটা দেখার।
অন্যদিকে পালটা ফের হুংকার দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। পারলে তাঁকে গ্রেফতার করে দেখাক পুলিশ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি চোখে চোখ রেখে করা বলতে পারেন, কেউকে ভয় পাননা বলেও মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।