পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ যুবায়ের। ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। দিল্লি পুলিশ যুবায়ের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রায়াল কোর্টে চারদিন পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায়। একদিন যুবায়েরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা সারওয়ারী গত ২৮ জুন আরও চারদিনের পুলিশি হেফাজতের দেন। যুবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৫৩ এ ধারায় (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং ২৯৫ এ ধারায় (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা) অধীনে একটি মামলা দায়ের করে।
ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানালেন যুবারের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। বিচারপতি সঞ্জীব নাড়ুলা এই মামলায় শুক্রবার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, তদন্তকারী অফিসাররা আদালতে মুহাম্মদ যুবায়ের পুলিশি হেফাজত বাড়ানো দাবিতে আবেদন জানান। পুলিশ আদালতে জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিখ্যাত হওয়ার প্রবণতায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ট্যুইট করে ইচ্ছাকৃত সামাজিক অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করেছেন। সেই সঙ্গে তদন্তকারী আধিকারিকরা ট্রায়াল কোর্টকে জানান, অভিযুক্ত তাদের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করেননি। তার ফোনে থাকা সমস্ত মেসেজ তিনি মুছে দিয়েছেন।
যুবারের আইনজীবী গ্রোভার আদালতকে জানান, একটি মামলায় তার মুহাম্মদ যুবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান একটি কেস দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন তথ্য যাচাইয়ের অন্যতম ওয়েবসাইট অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা যুবায়েরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ২০১৮ সালের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে। তবে যুবায়ের সহকর্মী এবং অল্ট নিউজের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহার দাবি, ২০২০ সালে সোশাল মিডিয়ায় যুবায়ের একটি পোস্টের জন্যই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে তাঁকে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, কোনও এফআইআর ছাড়াই যুবায়ের কোনও অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি ছিল মুহাম্মদ যুবায়ের বিভিন্ন বক্তব্য এবং পোস্টে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করেছে। ওই সব পোস্টের জন্য দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।