পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে দুজন মুসলিম তরুণকে লাঞ্চনার অভিযোগ উঠল রাঁচিতে। দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। ১১ জুন রাত ৮ টায়, জিশান (২৪) এবং ফাইজান (২১ ) রাঁচির সুজাতা চকের কাছের ডোমিনো’স থেকে পিজ্জা কেনার সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য তার কিছুটা সময় আগেই নবী মুহাম্মদের বিরুদ্ধে বিজেপির মুখপাত্রের বক্তব্যের প্রতিবাদে সংগঠিত হয় একটি বিক্ষোভ। যেখানে যেখানে পুলিশের সহিংস দমন-পীড়নের পরে দুজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হন। গুরুতর আহত জিশান বলেন “ ওরা কমপক্ষে সংখ্যায় ৩০ জন ছিল, প্রত্যেকের হাতে ভারী অস্ত্র ছিল, তাঁরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই আমাদের মারতে শুরু করে, আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাতের পর আঘাতের করা হয় যতক্ষণ তার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হচ্ছে, এর কিছুটা সময় পরে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় সদর হাসপাতালে।“
রক্তাক্ত আতঙ্কিত জিসান আরও বলেন আমরা প্রাণে বাচার জন্য যখন ছুটে পালাবার চেষ্টা করছিলাম, ওরাও পিছু ধাওয়া করছিল সঙ্গে ছিল উন্মত্তের মত চিৎকার “ ওদের পালাতে দিওনা”। জিশান জানিয়েছেন তাঁর স্কুটিটি এখনও পুলিশ স্টেশনে রয়েছে। জিশান আরও বলছেন যে তাঁরা এফআইআর করতে চাইলেও পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে। উল্লেখ্য একই দিনে কাছাকাছি সময়ে বজরং দলেরও একটি সভা ছিল। তবে শেষপর্যন্ত প্রহৃত জিসান এবং ফাইজানের কাকা নাসেম আখতার চুইটা পুলিশ স্টেশনের স্টেশন অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে ৩০-৩৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির তাঁর ভাইপোদের প্রাণনাশের চেষ্টা করেছিল। একই দিনে ইকরা চকে নামাজের পর ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলি দেখায় যে কীভাবে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য, পাথর নিক্ষেপের প্রতিবেদনের মধ্যে, পুলিশও গুলি চালায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে হিন্দুত্ববাদি নেতা ভৈরব (ভৈরো) সিং, ইতিহাস-পত্রকের একজন, হনুমান মন্দিরের অভ্যন্তর থেকে উসকানিতে জড়িত ছিলেন, যেখানে থেকে প্রথম পাথর ছোড়া শুরু হয়েছিল।