পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে ২৩ জুন ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হল। হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গত ৮ জুন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে এই বর্ষীয়ান নেত্রী হোম আইসোলেশনে ছিলেন। তাই তিনি সময় চান ইডির কাছে। সেই জন্য তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছে ২৩ জুন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধিকে ইডি তলব করেছে আগামি ১৩ জুন।
ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় মূল অভিযোগের আঙুল উঠেছে গান্ধি পরিবারের দিকে। অভিযোগ ন্যাশনাল হেরাল্ডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ঘুরপথে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে তার মালিকানা পেয়েছে গান্ধি পরিবার।
ন্যাশনাল হেরাল্ড ছিল ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহারলাল নেহেরু প্রকাশিত পত্রিকা। যা স্বাধীনতা পরবর্তীতে কংগ্রেস মুখপত্র হিসেবে পরিচিতি পায়। এই সংবাদপত্রটি প্রকাশ করত ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড’ নামের একটি সংস্থা। যার নির্দিষ্ট কোনও মালিক ছিল না। নেহরু প্রায় হাজার পাঁচেক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে এই সংস্থার শেয়ার হোল্ডার বানান।
অভিযোগ, রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়ার মালিকানাধীন ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি সংস্থা ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ, এবং নবজীবন, এই তিনটি সংবাদপত্র ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডে’র কাছ থেকে অধিগ্রহণ করে। রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী একাই ওই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মতিলাল ভোরা। কিন্তু বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মনম স্বামীর দাবি এই অধিগ্রহণ সঠিক রীতি মেনে হয়নি। মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে বদলে গিয়েছে শেয়ারের মালিকানা।