পুবের কলম প্রতিবেদক: বিহারের উদাহরণ রাজ্যের জেলা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথামতো আগামী দিনে রাজ্যে ৪৬ টি জেলাও হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো যদিও বা রাজ্যের হাতে রয়েছে তবে সমস্যা অফিসার নিয়ে। নতুন জেলা করতে গেলে যে পরিমাণ আমলা ও আধিকারিক প্রয়োজন তার রাজ্যের হাতে নেই।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে বলতে গিয়ে বিহারের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা। তিনি বলেন, বিহারে প্রচুর জেলা। আমাদেরও এভাবে জেলা ভাগ করে কাজ করতে হবে। এখন ২৭ টি জেলা রয়েছে। ভবিষ্যতে ৪৬ টি জেলাও হতে পারে। তিনি বলেন আমাদের জেলাগুলি তুলনায় অনেক বড়। সে গুলিকে ভাগ করার প্রয়োজন রয়েছে। অথচ সে গুলি ভাগ করতে গেলে যে লোক বল প্রয়োজন তা এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের হাতে নেই।
আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জেলা বৃদ্ধি নিয়ে ভাবনা দীর্ঘদিনের। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং জেলাকে ভেঙ্গে আলাদা করে কালিম্পং জেলা করা হয়েছে। বৃহত্তর বর্ধমানকে ভেঙে দুটি জেলা করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেও ঝাড়গ্রামকে আলাদা করে জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় সরকারি পরিকল্পনায় দুই ২৪ পরগনা ভেঙে পাঁচটি জেলা করার ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সরকারের যাবতীয় পরিকল্পনা আটকে যাচ্ছে মূলত ডব্লিউবিসিএস ও আইএএস অফিসারের অভাবেই। আর সে কারণেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে সরব হলেন।
প্রসঙ্গত অতীতেও কেন্দ্রের ক্যাডার নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার অভিযোগ ছিল কেন্দ্রের ভ্রান্ত ক্যাডার নীতির কারণেই ভুগতে হচ্ছে রাজ্যকে। তার অভিযোগ ছিল কেন্দ্রের ‘নীতির’ জেরে রাজ্যে আইএএস ও আইপিএস অফিসারের সংখ্যা প্রশাসনিক প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। এমনিতে আইএএসে এ রাজ্যে অনুমোদিত পদ ৩৭৫ সেটা অপ্রতুলই। রয়েছেন আরও কম, মাত্র ২৮৫ জন। এর ফলে এক-এক জন আইএএসকে একাধিক দপ্তরের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। এদিন তাই আরও একবার আইপিএস আইএসদের অপ্রতুলতা নিয়ে সরব হতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।