পুবের কলম প্রতিবেদক: মৌসম ভবন আগেই সতর্ক করেছিল , আবআওয়ার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। রবিবার রাত থেকেই কলকাতা ও শহরতলির আবহাওয়া বদলাতে থাকবে। সোমবার বৃষ্টি হলেও হতে পারে বলে একটা পূর্বাভাস ছিল। সেই মতো সোমবার সকালে কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিজুড়ে ঝেঁপে নামল বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টিতে শহরের একাধিক জায়গা জলমগ্নও হয়ে পড়ে।
উত্তরের বাগুইআটি থেকে দক্ষিণের বাঁশদ্রোণী, সর্বত্রই প্রবল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির দাপট দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অফিস টাইমে অফিসযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ, সবাইকে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে।
এ দিন সব জায়গাতেই ছিল বৃষ্টির দাপট। একেবারে সকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও হঠাৎই কালো মেঘে ঢাকে কলকাতার আকাশ। ধীরে ধীরে বৃষ্টি হতে শুরু করে। অনেকেই অফিসে বেরিয়ে মাঝ রাস্তায় নাকাল হতে হয়। অটো-বাস বা অন্যান্য গাড়ি ধরলে মানুষকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। লোকাল ট্রেনের যাত্রীদেরও স্টেশনে পৌঁছতে দেরি হয়। অনেক জায়গা জলে ডুবে গিয়েছে ফলে, যাতায়াত করতে সমস্যা হয়েছে সাধারণের। তবে বেলা গড়াতে জল নামে। নিচু এলাকাগুলিতে অবশ্য সন্ধ্যা পর্যন্ত জল জমে ছিল।
এ দিন ছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের জন্মোৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছিল। বিভিন্ন ক্লাব-স্কুল-কলেজের পাশাপাশি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অনুষ্ঠানেও দর্শকদের উপস্থিত হতে বেগ পেতে হয়। অনেকই আবার মাঝ পথে বৃষ্টিতে ভিজে যান। দর্শকরা বিব্রত হয়ে পড়েন।
এ দিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় তার গতি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই অভিমুখেই এগোতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মৌসম ভবনের খবর আজ ১০ মে সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পৌঁছবে অশনি। তারপর সামান্য বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। তারপর উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড় অশনি ফের নিম্নচাপে পরিণত হবে। বাংলায় সরাসরি প্রভাব না পড়লেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর।